কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: ‘ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এতদিন জেলে থাকার কোনও কারণ নেই’। বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির জামিনের পক্ষে সওয়াল করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘বিচারপতি চাইলে জামিন দিতেই পারতেন। আইনজীবী হিসেবে এটা মনে করি’।
ঘটনাটি ঠিক কী? ISF-র প্রতিষ্ঠা দিবসে রণক্ষেত্রের রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল ধর্মতলা চত্বর। সে দুর্নীতি-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে সেদিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ডোরিনা ক্রসিংয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছিলেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। নেতৃত্বে ছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। এরপর পুলিস যখন অবস্থান তুলে নিতে বলে, তখন দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ।
এই ঘটনায় এখনও পুলিসি হেফাজতে নওশাদ সিদ্দিকি। কেন? বিধায়কের জামিন মামলায় এদিন হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায়, ‘প্রতিরোধমূলক গ্রেফতারি এতদিন ধরে জেলে? এই ধরনের ঘটনায় ১-২ জন নেতা বা নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তিকে হেফাজতে নিলেন সেটা ঠিক আছে, কিন্তু ৮৮ জন? এই ৮৮ জনের ভূমিকা প্রমাণ করার মত ভিডিও রেকর্ডিং আছে তো’? এবার মুখ খুললেন বিধানসভার স্পিকারও।
কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? ISF-র মুখপাত্র জুবি সাহা বলেন, ‘দেরিও হলে উনি যে বিবৃতি দিয়েছেন, সেটা ভালো। সেটাকে আমরা অবশ্য স্বাগত জানাই। এই বিবৃতিটাই একমাস আগে আসা উচিত ছিল। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের মতে, ‘আইনজীবী হিসেবে মনে করেন নওশাদ সিদ্দিকির জামিন পাওয়া উচিত। স্পিকার হিসেবে কী মনে করেন? সেটাই মানুষ জানতে চাই’।