পাহাড়ে বনধের খবর শুনেই সাংঘাতিক ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শিলিগুড়ির সভা থেকে তিনি তামাংদের নাম না করে হুঁশিয়ারি দেন। মাধ্যমিক পরীক্ষার দিন বনধের সিদ্ধান্তের কথা শুনেই মুখ্যমন্ত্রী কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন। বনধ বিরোধী পলিসির কথা মনে করিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারি, ”আইন হাতে তুলে নিলে কাউকে রেয়াত করা হবে না।”
পর্যটন মরশুম শুরু আগেই ফের উত্তপ্ত পাহাড়। মাধ্যামিক শুরুর প্রথম দিনেই বনধের ডাক দেওয়া হয়েছিল শৈলশহরে (Darjeeling)। বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব পাশ হতেই ক্ষুব্ধ বিনয় তামাং ও অজয় এডয়ার্ডের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ও হামরো পার্টি। এই প্রস্তাব পাশের প্রতিবাদে ও গোর্খাল্যান্ডের (Gorkhaland) দাবিতে মঙ্গলবার থেকেই দার্জিলিংয়ের গোর্খা রাঙা মঞ্চ ভবনে প্রতীকী অনশনে সামিল হয়েছেন জিটিএ-এর নয় নির্বাচিত সদস্য।
আগামীকাল শুরু মাধ্যমিক। পরীক্ষার প্রথম দিনেই ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছিলেন বিনয় তামাং, অজয় এডওয়ার্ডরা। এর জেরে ব্যাপক অসুবিধায় পড়তে পারেন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই মঙ্গলবার বিকেল থেকে পাহাড়ে কড়া পুলিশি ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। শুধু দার্জিলিঙেই ৯০০ পুলিশ মোতায়েনের পরিকল্পনা ছিল সরকারের। কিন্তু, সাধারণ মানুষ ও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে তামাংরা নিজেরাই আগামীকাল বনধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন।