তাঁদের পূর্বপুরুষরা সেই ব্রিটিশ আমল থেকে এখানে রয়েছেন, কাজ করছেন। বিভিন্ন রাজ্য থেকে তাঁরা এখানে এসেছিলেন। চা বাগানের শ্রমিকদের যে জমি দেওয়া হচ্ছে খুব কম জমি দেওয়া হচ্ছে। মাত্র আধ ডেসিম্যাল জায়গায় কি হয়! কমপক্ষে এতটা জমি দেওয়া হোক যাতে শ্রমিকরা ঠিকমতো বসবাস করতে পারেন”।
এখানেই না থেমে দিলীপ আরও পারদ চড়িয়ে বলেন, “রাজ্য সরকার প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষদের এই রাজ্যের ভূমিপুত্র বানিয়ে দিচ্ছে। আর এদিকে প্রায় ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে রাজ্যে থাকা এই চা শ্রমিকরা থাকার জমি পাচ্ছেন না। এঁরা কিন্তু বিদেশ থেকে আসেননি, দেশেরই বিভিন্ন রাজ্য থেকে এখানে এসেছেন। নিয়ম অনুযায়ী ৫০ বছরের বেশি কেউ এক জায়গায় বসবাস করলে সেই জায়গার ওপর একটা অধিকার জন্মে যায়”।
বুধবার সকালে মাদারিহাট বীরপাড়া ব্লকের বীরপাড়া চৌপথি এলাকায় চা চক্রে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ । বীরপাড়াতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে এসে পৌছেছেন দিলীপ ঘোষ। এদিন সকালে প্রাতঃভ্রমণে বের হন দিলীপ।
পথচলতি মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এদিন চা চক্রে যোগ দিয়ে দিলীপ ঘোষ বিভিন্ন বিষয়ে সরব হন । দিলীপ মুখ খুলেছেন সাম্প্রতিক DA আন্দোলন নিয়েও।
এই বিষয়ে তিনি জানান, “DA না দিলে রাজ্য সরকারী কর্মচারীরা আন্দোলন করবেই এবং এটা ধীরে ধীরে উগ্ৰ আন্দোলনে রূপ নেবে। গোটা দেশের সব রাজ্যে কেন্দ্রীয় হারে DA দেওয়া হচ্ছে। আর আমাদের রাজ্যেই DA দেওয়ার নামগন্ধ নেই। শুধু ভাওতাবাজি ও প্রতিশ্রুতি চলছে।
এভাবে বেশিদিন চলতে পারে না। মমতা একটা সময় নিজে দেখিয়েছেন আন্দোলন কিভাবে করতে হয়। এবার রাজ্যের কর্মচারীরা তা দেখাবেন মমতাকেই”। দিলীপ এদিন কথা বলেন BJP-র সাংসদ মন্ত্রীদের বাড়ি ঘেরাও নিয়েও। এই বিষয়ে তিনি বলেন, “এটা করে তৃনমূল (Trinamool Congress) ভালো কাজ করছে না।
ঘেরাও আন্দোলন আমাদের নেতা কর্মীরাও করতে পারেন। এবার আমাদের কর্মীরা যদি অভিষেক বা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করেন, সেটা কি খুব ভালো দেখাবে! এভাবে একটা রাজ্য চলতে পারে না। তৃনমূল (Trinamool Congress) এভাবে নিজের কবর নিজেরাই খুঁড়ছে। দিদির দূত হিসেবে গিয়ে ওদের নেতারাই জনতার কাছে ঝাড় ও মার খাচ্ছেন”।