মৃত ২ জনের নাম সুরজা বিবি, জেসমিন বিবি। বহুদিন ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তার ধার থেকে শুকনো গাছ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বললেও প্রশাসনিক উদাসীনতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা। বুধবার বিকালে ভয়ঙ্কর পথ দুর্ঘটনায় বলি হল দু’জন।
মৃতদের বাড়ি পাণ্ডুয়া থানার শিমলাগড়ে। দুর্ঘটনাটি ঘটে আরামবাগ থানার (Arambagh Police Station) ধরমপোতা এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আবর্জনা বোঝাই করে একটি গাড়ি খানাকুল থেকে মায়াপুরের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় হঠাৎ একটি শুকনো গাছ গাড়ির উপর ভেঙে পড়ে। গাড়ির মধ্যে ৯ জন ছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলেই ২ জন মারা যায় বলে অনুমান স্থানীয় বাসিন্দাদের।
দুর্ঘটনা লক্ষ্য করেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়রা সকলকে উদ্ধার করে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ২ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গাড়ির মধ্যে থাকা সাহিদা বিবি বলছেন, তারা মোট ৯ জন ছিলেন।
মূলত প্লাস্টিক, বোতল ও আবর্জনা সংগ্রহ করে তা বিক্রি করেই তাদের সংসার চলে। তাঁরা গাড়ি ভর্তি করে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।” বাকি আরও সাত জন যাত্রী কমবেশি আহত হয়েছেন। কয়েকজনের চিকিৎসা চলছে।
তবে দুর্ঘটনার কারণে প্রশাসনিক উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা চিন্ময় রায় জানিয়েছেন, রাস্তার ধারে একটি পুরানো শুকনো গাছ দীর্ঘদিন ধরেই দাঁড়িয়েছিল। সেটি ভেঙে পড়েই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
উল্লেখ্য, মহকুমাজুড়ে রাস্তার চারিদিকেই অসংখ্য শুকনো গাছ দাঁড়িয়ে আছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে একাধিকবার এই নিয়ে সংবাদ পরিবেশন হলেও প্রশাসনের টনক নড়েনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
পূর্ত দফতরের উদাসীনতা কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে দু’জন মানুষের মৃত্যু তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বলে মত স্থানীয়দের। রাস্তার ধারের শুকনো গাছ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আর্জি জানান এলাকাবাসী। এরকমভাবে শুকনো গাছ দাঁড়িয়ে থাকলে আগামী দিনে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ক্ষোভ প্রকাশে করেন তাঁরা।