ধৃত বিশাল সিং বিহারের আরা জেলার বাসিন্দা বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। পাণ্ডুয়া থানায় তাঁর বিরুদ্ধে ছিনতাই, খুন সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁকে পাণ্ডুয়া থানা থেকে মগড়া থানায় নিয়ে গিয়ে দফায় দফায় জেরা করা হয়।
তদন্তে নেমে পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন পূর্ব বর্ধমানের কালনা গেট খাঁপুকুর পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা উদয়ন নিজের স্করপিও গাড়ি ভাড়া খাটাতেন। এমনকী তিনি নিজেও গাড়ি চালাতেন। বর্ধমান স্টেশন লাগোয়া গাড়ির স্ট্যান্ড থেকে ওই চার দুষ্কতী ব্যান্ডেল যাওয়ার জন্য তাঁর গাড়ি ভাড়া করে।
জানা গিয়েছে, ৩৩০০ টাকায় উদয়নের গাড়ি ভাড়া নেয় তাঁরা। মঙ্গলবার বৈঁচি বোরাগাড়ির কাছে জিটি রোডের উপর ওই গাড়ি চালককে গুলি করে খুন করা হয়। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। তাঁর মাথায় বুকে ও পাঁজরে তিনটি গুলি লাগে।
উদয়নকে খুন করে ছিনতাই করা স্করপিও গাড়ি নিয়ে পালানোর সময় পুলিশ এক দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে। বাকি তিনজন সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তাঁদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশি তদন্তে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। বর্ধমান স্টেশনে নেমে ওই চারজন ভাড়া নেওয়ার জন্য যখন গাড়ির খোঁজ করছিল, তখন তাঁদের ছোটো গাড়ি দেখানো হলেও তাঁরা তা নিতে রাজি হয়নি। সেখানে উপস্থিত গাড়ি চালকরা তাঁদের টাটা সুমো গাড়ি দেখালেও তা নিয়ে অস্বীকার করে দুষ্কৃতীরা।
স্করপিও গাড়িটি শেষমেশ তাদের পছন্দ হয়। বর্ধমান থেকে হুগলির দিকে ৩৫ কিলোমিটার যাওয়ার পরই চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে খুন করা হয়। চালক ওই দুষ্কৃতীদের গতিবিধি বুঝে যাওয়ার কারণে খুন করা হল? এই প্রশ্নই এখন হুগলি গ্রামীণ পুলিশের গোয়েন্দাদের ভাবাচ্ছে। তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা মনে করছেন, এই গাড়ি ছিনতাই করে হুগলিতেও কোনও বড় ধরনের অপরাধ করার কোনও পরিকল্পনাও তাঁদের থাকতে পারে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ ধৃত বিশাল সিংকে আদালতে পেশের পর তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশয। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই বাকিদের খোঁজ পাওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।