Nadia News: ‘ইয়ার্কি মেরেছিলাম…’, মুখ খুললেন চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করতে চাওয়া ৫১-র শিক্ষক – nadia primary school teacher who allegedly send class four student a marriage proposal opens up about the incident


ক্লাস ফোরের ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব! নদিয়ার ৫০ ঊর্ধ্ব শিক্ষকের কাণ্ডে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তিনি ওই ছাত্রীর মাকে ফোন করে আট থেকে নয় বছরের শিশুকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। নদিয়ার গাংনাপুরের ঘটনাটি ২০২২ সালের জুন মাসে।

সেই সময় চিনাপুকুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াতেন পরিমল কুমার বাইন নামক ওই শিক্ষক। কেন এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন তিনি? এবার মুখ খুললেন ওই শিক্ষক। পরিমল কুমার বাইনকে ওই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি ফোনে ওর মাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। বলেছিলাম ওর মেয়েকে পছন্দ হয়, যদি বিয়ে দেওয়া যায়।”

Nadia News : ‘ওকেই বিয়ে করব…’, ক্লাস ফোরের ছাত্রীর বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব ৫৭-র শিক্ষকের
এখানেই শেষ নয়, ওই শিক্ষকের আরও জবাব, “ওর মাকে ইয়ার্কি মেরে বলেছিলাম। এমনই বলে ফেলেছিলাম। ও তো একেবারে ছোট। আমার বয়স ৫১।” নির্বিকারেই এই কথাগুলি বলে চলেন তিনি। এদিকে স্কুলে না গিয়েও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বেতন নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সূত্রের খবর, সোমবার পর্যন্ত তিনি রানাঘাট-১ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে গিয়ে হাজিরা দিচ্ছিলেন এবং তার প্রেক্ষিতেই পাচ্ছেন বেতনও।

এই অভিযোগও স্বীকার করে নেন তিনি। পরিমল কুমার বলেন, “আমি সাত মাস ধরে বসে রয়েছি। স্কুলে যেতে চাইছি। মৌখিকভাবে সেই আবেদন জানিয়েছি। বসে বসে বেতন নিতে আমারও অত্যন্ত খারাপ লাগে। কিন্তু, বাধ্য হচ্ছি। কী আর করব!”

Nadia Bike Accident : মেলা দেখে ফেরার পথে দুর্ঘটনা, ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু ২ যুবকের
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে চিনাপুকুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় যোগ দেন পরিমল কুমার বাইন। এই স্কুলে যোগদানের পর থেকেই একাধিক বিতর্কে নাম জড়িয়েছে তাঁর। মিড ডে মিলের রাঁধুনিদের সঙ্গেও অশালীন আচরণ করেছেন তিনি, উঠেছিল এই অভিযোগ। আর এই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে ২০১৯ সালে সরিষাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয় বদলি করা হয়। যদিও ২০২১ সালে তিনি ফের চিনাপুকুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিরে এসেছিলেন। এরপরেই তিনি ছাত্রীর মাকে ফোন করে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

Nabadwip Vidyasagar College : DA-র প্রতিবাদে ‘পেন ডাউন’ নবদ্বীপ কলেজে, পালটা বিক্ষোভ ছাত্র-ছাত্রীদের
কী ভাবে কোনও কাজ না করে দীর্ঘদিন ধরে বেতন নিচ্ছিলেন তিনি, এবার উঠেছে সেই প্রশ্নও। জেলার প্রাথমিক বিদ্যা সংসদ সূত্রে খবর, “এই ঘটনায় কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিয়ারিং করেছিলেন। যদিও বিষয়টি এতদিন ধরে আটকে আছে তা জানা ছিল না।”

বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট স্কুল যেখানে অবস্থিত সেখানকার গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্যের সঙ্গেও কথা বলা হয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের এক আধিকারিকের তরফে সূত্রের খবর এমনটাই। গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ না দেখালে বা তাঁদের আপত্তি না থাকলে পুরনো স্কুলেই তাঁকে পোস্টিং দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। না হলে তাঁকে অন্য কোনও স্থানে স্থানান্তরিত করা হতে পারে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *