সূত্রের খবর, অভিযুক্ত জওয়ানকে ইতিমধ্যে সাসপেন্ডও করেছে বাহিনী। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ দিন শিলিগুড়িতে এ নিয়ে মুখ খোলেন। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘আমার কাছে খবর এসেছে, এক মহিলা ধর্ষিতা হয়েছেন।
একজনকে (কোচবিহারের প্রেমকুমার বর্মণ) ১৮০টি ছররা গুলি মেরেছে। এসপিকে বলছি দেখতে। কাউকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না।’ পুলিশ সূত্রে খবর, ১৮ ফেব্রুয়ারি নির্যাতিতাকে কৃষ্ণগঞ্জের বিএসএফ ব্যারাক থেকে আনা হয় বিধাননগরের একটি সেনা হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসার পরে নির্যাতিতাকে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন।
ওই রাতেই নির্যাতিতাকে বিধাননগরের হাসপাতাল থেকে এসএসকেএমে আনা হয়। ভবানীপুর থানায় নির্যাতিতা ওই বিএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। কলকাতা পুলিশ ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ‘জ়িরো এফআইআর’ করে প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর তার রিপোর্ট কৃষ্ণগঞ্জ থানায় পাঠিয়ে দিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে আদালতে অভিযোগকারিণীর গোপন জবানবন্দিও নথিভুক্ত হয়েছে। নির্যাতিতাও এখন এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
এ দিন বিএসএফের মহিলা কনস্টেবলের ধর্ষণের বিষয়টি নিয়ে টুইট করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘বিজেপি এবার কী বলবে?’ বিএসএফের পদস্থদের কেউই অবশ্য বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খোলেননি। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেছে তৃণমূল।
রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, ‘কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার একটি বিএসএফ ক্যাম্পে এ রকম ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। খুবই নিন্দনীয় ঘটনা। দেশকে পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব যাঁদের কাঁধে, তারাই যদি এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটায়, মহিলা কর্মীর চরম সম্মানহানি করে-তাহলে কী বার্তা যাবে দেশবাসীর কাছে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবার কী বলবেন?’
যদিও এ নিয়ে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের বক্তব্য, ‘এটা রাজনৈতিক বিষয় নয়, সেটাও বোধহয় ভুলে যাচ্ছেন ওঁরা। বিজেপি একশো ভাগ নৈতিকতায় বিশ্বাসী। আমরা চাইব, চরম ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যেন হয়।’ কৃষ্ণগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের কাছে কলকাতা পুলিশ বা জেলা আধিকারিকদের কাছ থেকে কোনও রিপোর্ট আসেনি।