এরপর চাল উদ্ধার ঘিরেই শুরু হয়েছে নানান কথাবার্তা। ওই জমির পাশেই রয়েছে সুরতপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি ওই বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) চাল রাতের অন্ধকারে পাচার হচ্ছিল? তা হলেও, কারাই বা পাচার করছিল?
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দাসপুর থানার পুলিশ (Daspur Police Station)। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কিভাবে এই ১০ বস্তা সরকারি লোগো লাগানো চাল পৌঁছলো ওই এলাকায়, সেই বিষয়ে খোঁজ খবর করা হচ্ছে এলাকায়।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১০ বস্তা চাল উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে দাসপুর থানায়। দাসপুর পুলিশ সূত্রে খবর, পুরো বিষয়টি খাদ্য দফতরে জানানো হয়েছে। এলাকায় রেশন ডিলার ও স্কুলগুলির স্টক মিলিয়ে দেখা হবে যে তালিকা থেকে কটি চালের বস্তা গায়েব আছে।
এই বিষয়ে সুরতপুরের স্থানীয় বাসিন্দা রেবতী রায় জানান, “সকাল বেলা গ্রামের কিছু ছেলেপুলে ওই ফাঁকা জমির দিকে খেলতে গিয়েছিল। তারাই ওই চালের বস্তাগুলি দেখতে পায়। এসে আমাদের খবর দেয়। তারপর আমরা গিয়ে দেখি সরকারি লোগো লাগানো রয়েছে। তখন গ্রামের কিছু লোক মিলে ওই বস্তাগুলি নিকটবর্তী কালীমন্দিরের সামনে এনে রাখে। তারপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়”।
এই বিষয়ে দাসপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুনীল ভৌমিক জানান, “আমরা খবর পেয়েছি যে ১০টি চালের বস্তা স্কুলের বাইরে একসঙ্গে পাওয়া গিয়েছে। এটা পুলিশ প্রশাসনের তদন্তের ব্যাপার। না জেনে আমরা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। পুলিশ নিজের মতন তদন্ত করছে। এই ক্ষেত্রে যারা দোষী তাঁদের পুলিশ আইনের আওতায় নিয়ে আসবে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়”।