৯ মার্চ মাদ্রাসার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ইংরেজি পরীক্ষা। সেক্ষেত্রে এই দিন সরকারি কর্মীরা DA-র দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দিলে বড় সমস্যায় পড়তে হতে পারে পরীক্ষার্থীদের। আন্দোলনরত কর্মীরা বারবার বলেছিলেন, সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়বে, এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ তাঁরা করবেন না। সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে ৯ তারিখ ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসতে পারেন আন্দোলনকারীরা, সূত্রের খবর এমনটাই।
এই প্রসঙ্গে DA-র দাবিতে আন্দোলনরত কিংকর অধিকারী বলেন, “কোনও পড়ুয়া সমস্যায় পড়ুক তা আমরা চাইব না। সেক্ষেত্রে ৯ তারিখে ধর্মঘট আদৌ করা হবে কিনা তা বিচার বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। তবে এখনই ধর্মঘটের তারিখ পরিবর্তন নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত মঞ্চের তরফে ঘোষণা করা হচ্ছে না। যদিও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।”
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় হারে DA-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। আইনি লড়াইয়ের পথেও হেঁটেছেন তাঁরা। বাজেটের দিন রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ৩ শতাংশ বর্ধিত DA-র ঘোষণা করেন। যদিও এরপরেই আন্দোলনে কার্যত ঘৃতাহুতি পড়ে। কেন্দ্রের সঙ্গে DA-র ফারাক তুলে ধরে রাজ্য সরকারি কর্মীদের দাবি ছিল তাঁদের ‘ভিক্ষা’ দেওয়া হচ্ছে।
আন্দোলনের আরও ধার বাড়ানোর কথা বলেছিলেন তাঁরা। গত ২০ এবং ২১ তারিখ কর্মবিরতির পথে হেঁটেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। এবার সরকারের উপর চাপ বাড়াতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। যদিও পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে সেই তারিখে বদল আনা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, DA নিয়ে বিক্ষোভের মাঝেই মঙ্গলবার শিলিগুড়ি থেকে বড় বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, “সরকারি কর্মীরা আমার বন্ধু। তাঁরা আমাদের সাথী।” কেন্দ্র রাজ্যকে বকেয়া না মেটালেও সরকারি কর্মীদের বেতন বন্ধ হয়নি, সেই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল সরকার কত টাকা DA বাবদ তুলে ধরেছেন, সেই তথ্যও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।