তবে গোটা বিষয়টি গুজব বলে মনে করছে প্রশাসন। বিষয়টি নজরে আসতেই গুজব রুখতে উদ্যোগী দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। যারা এমন গুজব ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিপিএসসির চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা।
জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের দিওরের আমরুলবাড়ি এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে ধরে গ্রামবাসীরা। ছেলেধরা সন্দেহে তাঁকে মারধরও করা হয়। এই ঘটনার পর থেকেই জেলার তপন ব্লকের মালঞ্চা সহ একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে এলাকায় ছেলেধরা ঘুরছে। মুহুর্তের মধ্যে এমন গুজব এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে।
ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অভিভাবকরা। তাঁরা এতটাই ভয় পেয়ে গিয়েছেন যে নিজেদের সন্তানদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন। এর ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয় কমছে ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতির সংখ্যা। এমনকী অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠালেও, স্কুল ছুটির সময়ের আগেই তাদের নিয়ে বাড়িতে চলে যাচ্ছেন। যদিও গুজব ছড়িয়ে পড়ার কথা জানার সঙ্গে সঙ্গে নড়েচড়ে বসেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ কতৃপক্ষ।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা এই প্রসঙ্গে বলেন, “তপন পূর্ব চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছ থেকে গুজব রটার বিষয় শুনলাম। ওই সমস্ত এলাকাতে সচেতনতামূলক শিবিরের আয়োজন করতে বলা হয়েছে। যারা গুজব রটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি তপন ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক ও তপন থানার ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শককে জানানো হয়েছে।”
পাশাপাশি ডিপিএসসির চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকদের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে বলেন “প্রশাসন সব বিষয় নিয়ে সতর্ক রয়েছে। চিন্তার কোনও কারন নেই, আপনারা শিশুদের স্কুলে পাঠান।” উল্লেখ্যে, অতীতেও রাজ্যে একাধিকবার ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। এমনকী এই নিয়ে বার্তাও দিতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যপাধ্যায়কে। ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সোমনাথ ঝাঁ এই প্রসঙ্গে বলেনস, “গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব। সাধারণ মানুষকেও সচেতন করা হবে।” প্রশাসন দোষীদের আটক করতে পারে কিনা, সেটাই এখন দেখার।