ধৃতকে আজ বৃহস্পতিবার তোলা হয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে (Durgapur Court)। ধৃত যুবক বিকাশ রজক বিহারের রাজগীর এলাকার বাসিন্দা বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের (Durgapur) ফরিদপুর ফাঁড়ি থেকে ধৃতকে পুলিশি হেফাজত চেয়ে তোলা হয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে (Durgapur Court)।
উল্লেখ্য, বেশ কয়েক বছর ধরে দুর্গাপুরের ভিরিঙ্গি চাষিপাড়া এলাকায় বিকাশ রজক আত্মীয়র বাড়িতে মাঝেমধ্যে আসত বলে পুলিশ সূত্রের খবর। বিকাশ রজক নামের ওই যুবক চাষিপাড়া এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিহারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল বাসে করে।
তারই মধ্যে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দুর্গাপুর থানার পুলিশ ওই বাসটিকে ধাওয়া করে। গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ৭টি কার্তুজ সহ পিস্তল। ধৃত বিকাশ রজককে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তদন্তের গতি আনতে চাইছে পুলিশ। বিকাশের সঙ্গে এই অস্ত্র কারবারে আর কে কে জড়িয়ে আছে, সেই সন্ধানও চালাচ্ছে পুলিশ।
এই বিষয়ে বিকাশের আত্মীয়র এক প্রতিবেশী জানান, “বিকাশকে আমরা বেশ অনেক বছর ধরেই এখানে দেখছি। মাঝে মধ্যেই এখানে তার আত্মীয়ের বাড়িতে আসত। কিন্তু বিকাশ যে এরকম অস্ত্র কারবারে জড়িয়ে আছে, তা আমরা একেবারেই জানতাম না। আজ প্রথম শুনলাম। এতদিন ওর সঙ্গে কথা বলে আমরা কোনোদিন কিছু আঁচ পাইনি”। এই ঘটনার পর থেকে বিকাশের আত্মীয়ের এলাকার বাসিন্দারা রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বেশ কয়েক মাস ধরেই রাজ্য জুড়ে ব্যাপক হারে ধরা পড়ছে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা। যা রীতিমতো কপালে ভাঁজ ফেলেছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের। বিগত কয়েকমাসে শুধু মুর্শিদাবাদ জেলা থেকেই উদ্ধার হয়েছে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র। বেআইনি পাইপগান ও বোমা উদ্ধার হয়েছে দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলা থেকেও।
সেই সঙ্গে এবার নাম জুড়ল পশ্চিম বর্ধমান জেলারও। দুর্গাপুর থেকে এই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় নিরাপত্তা বাড়ান হয়েছে বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমান জেলার সীমানাতে।