বৃহস্পতিবার মালদার চাঁচলের কলিগ্রাম হাইস্কুল পরীক্ষাকেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে পড়েন দুই জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা চলাকালীন কলিগ্রাম হাইস্কুল পরীক্ষা কেন্দ্রে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন অদিতি প্রামাণিক। তড়িঘড়ি করে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Chanchal Super Speciality Hospital) নিয়ে যাওয়া হয় স্কুলের তরফে।
পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা হওয়ার পরেই অদিতি ফের পরীক্ষা দিতে শুরু করেন। অন্যদিকে, কলিগ্রাম সেন্টারের আরেক পরীক্ষার্থী মেহেজাবিন জাহিদি পরীক্ষার শেষ মুহুর্তে মাথা ঘুরে জ্ঞান হারায়। স্কুলের তরফে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
আপাতত হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন মেহেজাবিন। জানা গিয়েছে, ওই অসুস্থ পরীক্ষার্থী চাঁচল রাণী দাক্ষায়নি গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী। আসন হয়েছিল কলিগ্রাম হাইস্কুলে।
ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছে যান মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন ও চাঁচল থানার আইসি পুর্ণেন্দু কুমার কুণ্ডু। পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন ও পরীক্ষার্থীদের সাহস জোগান।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার পরীক্ষার প্রথম দিনেই মুর্শিদাবাদের বহড়া আদর্শ বিদ্যাপীঠে জজান তেনারাম হাইস্কুলের ছাত্রী সোমাতুন খাতুন হঠাৎই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে। পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকা পরীক্ষককে জানালে তিনি বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানান।
পরীক্ষার খাতা-সহ তাকে মেডিক্যাল টিমের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষা করে ওষুধ দেওয়া হয়৷ অসুস্থতার কারণে প্রথম দেড় ঘণ্টার পর সোমাতুন আর সম্পূর্ণ করতে পারেনি প্রথম দিনের বাংলা পরীক্ষা।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ৪ মার্চ পর্যন্ত চলবে এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস আটকানোর জন্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট সময়ের আগে পরীক্ষার হল ত্যাগ করলে প্রশ্নপত্র জমা রেখে বের হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি সমস্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই বছর প্রথম পর্ষদের পক্ষ থেকে একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে যার নাম ‘এলিক্সাম’। এই অ্যাপের মাধ্যমে নজরদারি চলছে পর্ষদের কন্ট্রোল রুম থেকে। পরীক্ষা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যে কোনও সমস্যার কথা জানানো যাবে এই অ্যাপের মাধ্যমে।