সমস্ত প্রতিকূলতা সরিয়ে রেখে সামশেরগঞ্জের পঞ্চগ্রাম হাইস্কুলে (Panchamgram High School) পরীক্ষায় বসে তাজকুরা। মুখে কথা না বলতে পারলেও মনের জেদ আর প্রবল ইচ্ছা শক্তি নিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সে। বৃহস্পতিবার অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে সামশেরগঞ্জের পঞ্চগ্রাম আইএসএ হাইস্কুলে কার্যত উৎসাহের সঙ্গে বাংলা পরীক্ষায় বসেন ওই ছাত্রী।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দিঘড়ি হাইস্কুল থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরত্বে পঞ্চগ্রাম আই এস এ হাইস্কুলের সেন্টারে পরীক্ষা দিতে এসেছিল ছাত্রী তাজকুরা খাতুন। তার অসুবিধার কথা জানতে পেরে সবরকম সুযোগ-সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা করে সামশেরগঞ্জের পঞ্চগ্রাম আইএসএ হাইস্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
পরীক্ষা দিতে যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন্য বিশেষভাবে নজর রাখেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের পরীক্ষকরা। তাজকুরাকে দেখে উৎসাহিত হন অন্যান্য পরীক্ষার্থীরাও। তাজকুরার পরিবার সূত্রে জানা যায়, মুখে কথা বলতে না পারলেও লেখালিখি করেই পড়াশুনা করে তাজকুরা। তাজকুরার ভাই বলেন, “ও কানেও শুনতে পায় না, মুখে কথাও বলতে পারে না।
মাস্টারমশাই বোর্ডে যা লিখে দেয় , সেটা দেখেই ও পড়াশোনা করে। ইশারা করে বুঝিয়ে দিলে বুঝতে পারে। আমাদের মুখের কথাও বুঝতে পারে। সেগুলি দেখেই ও পড়া-লেখা করে।” তাজকুরার মা বলেন, “ওকে তো প্রথমে স্কুলেই ভর্তি করা যাচ্ছিল না। কথা বলতে বা শুনতে না পাড়ার জন্যে ওকে ভর্তি নিচ্ছিল না। তারপর প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অনুরোধ করে ভর্তি হয়।
সেই থেকে এখন দশম শ্রেণীর পরীক্ষা দিচ্ছে।” প্রসঙ্গত, ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ৪ মার্চ পর্যন্ত চলবে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফ্যানস আটকানোর জন্য একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট সময়ের আগে পরীক্ষার হল ত্যাগ করলে প্রশ্নপত্র জমা রেখে বেরোনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সমস্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।