উক্ত আইসিডিএস কেন্দ্রে ২২১ জন শিশুকে খিচুড়ি দেওয়া হয় প্রতিদিন। সেই মোতাবেক আজও তাদের খিচুড়ি এবং ডিম দেওয়া হয়েছিল। হঠাৎ একজন দেখতে পান তার খিচুড়ির মধ্যে মরা শুঁয়োপোকা। যার ফলে বেশ আতঙ্ক বোধ করেন তাঁরা। বেশ কিছুদিন আগে পাঁশকুড়ার মাইশোরা এলাকার শ্যামপুরের একটি আইসিডিএস কেন্দ্রে টিকটিকি পড়েছিল যা নিয়ে এক প্রকার চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়।
এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে পাঁশকুড়ার নারােন্দা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আইসিডিএস কেন্দ্রে শুয়োপোকা পড়ে থাকতে দেখা যায়। যা নিয়ে এক প্রকার আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এলাকাবাসীর মধ্যে। এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। দ্রুততার সহিত আইসিডিএস-এর কর্মী সমস্ত শিশুদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়ে এক ছাত্র। যদিও তা অস্বীকার করে আইসিডিএসএর কর্মী।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পাঁশকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নন্দকুমার মিশ্র। তিনি আইসিডিএস কেন্দ্রটি পরিদর্শন করার পরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসা শিশুদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। আগামীদিনে যাতে যত্ন সহকারে পরিষেবা প্রদান করা হয় সেদিকে দেখা হবে বলেও জানান নন্দকুমার মিশ্র। তবে ক্ষোভ জমেছে অভিভাবকদের মনে। একাধিকবার এরকম ঘটনা ঘটায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা। আগামী দিনে যাতে এরকম ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে জোরালো আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। বেশ কয়েক মাস আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকের মৌসুনি কুসুমতলা স্পেশাল আইসিডিএস সেন্টারে খিচুড়িতে পোকা কিলবিল করতে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল।