নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই (CBI) হেফাজতে থাকা কুন্তল ঘোষকে এদিন আদালতে তোলা হয়। সেই সময় কুন্তল মন্তব্য করেন, “কাকু বলতে আমি একজনকেই চিনি। আমার বাবার ভাই।’ এমনকি টাকা দেওয়া-নেওয়ার বিষয় নিয়ে কুন্তল জানায়, ‘একমাত্র গোপাল দলপতি টাকা নিয়েছেন।”
এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য সভাপতি বলেন, “কুন্তল চালাক ছেলে। সেজন্য জানে কোথায় কী বলতে হয়। বাইরে এক বলছে আর ভেতর আরেক বলছে। আর সুজয়বাবু তো স্বীকার করে নিয়েছে, তার সাহেব হচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি বরাবর বলে এসেছি কাটমানির খাদ্যশৃঙ্খল।”
সুজয় ভদ্র নামক জনৈক ব্যক্তি ‘কালীঘাটে কাকু’ বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের সামনে অস্বীকার করলেও বিষয়টি নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতির সাবি, “কালীঘাটের কাকু খুব বিখ্যাত ব্যক্তি। যতটুকু আমি জানতে পেরেছি, পিছনে সত্যতা আছে কিনা জানিনা, উনি প্রথম জীবনে হকারি করতেন। এখন বিলাসবহুল বাড়ির মালিক।
বাড়িটা আমাকেও আকর্ষণ করেছে। এত সুন্দর বাড়ি। এরকম বাড়ি যদি করতে পারতাম লিগালি বা স্বচ্ছভাবে, আমি অন্তত জীবনে নিজেকে সফল বলে মনে করতাম। এত সফল ব্যক্তি তো কালীঘাটেই থাকবে। আমরা দেখেছি টালির চাল থেকে যারা অট্টালিকায় গিয়েছে , তারা সবাই কালীঘাটেই থাকে।”
অন্যদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের স্ত্রী ও পুত্রের জেল হেফাজত হওয়ার বিষয়টি নিয়েও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “একদিকে শিক্ষকরা ডিএ পাচ্ছেন না, অপরদিকে একই সময়ে আরেকজন শিক্ষক তৃণমূল নেত্রীর অনুপ্রেরণায় পাঁচ কোটি টাকা খরচ করে নাকি বিদেশে গিয়েছেন পড়তে। এটা তো দ্বিচারিতা।”
বুধবার মেঘালয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা নিয়েও কটাক্ষ করতে দেখা যায় বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে। একদিকে, রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি থেকে ডিএ সমস্যা উত্তাল রাজ্য, অন্যদিকে, তৃণমূল নেত্রী নতুন মেঘালয় গড়ার ডাক দিচ্ছেন নির্বাচনী সভায়, এতে আদতে ” মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি” বলে অভিহিত করেন সুকান্ত মজুমদার।