মায়ের কাছে মৃত হৈমন্তী!
জানা যায়, হাওড়ার উত্তর বাকসারা কাটুরিয়া পাড়ায় হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের বাপের বাড়ি। এই সময় ডিজিটালের পক্ষ থেকে সেখানে গিয়ে মায়ের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। সংবাদমাধ্যমের সামনে মেয়ের সম্পর্কে কিছু বলতে নারাজ মা। মেয়ের নাম শুনেই কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। হৈমন্তীর মা বলেন, “নিকুচি করেছে মেয়ের। আমার মেয়ে মরে গিয়েছে। কোনও মেয়ে নেই আমার।” পাশাপাশি জানান, তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন রয়েছে।
সূত্রের খবর, গত ১০ থেকে ১২ দিন আগে পরিবারের সদস্যের শরীর খারাপের খবর শুনে হাওড়ায় বাপের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন হৈমন্তী। যদিও বর্তমানে তাঁর কোনও হদিশ নেই। ED আধিকারিকদের অনুমান, এই হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার একাধিক তথ্য জড়িয়ে। তাঁকে নাগালে পেলে মিলতে পারে একাধিক রহস্য। কী ভাবে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে টাকা পয়সার লেনদেন চলত, তা উঠে আসতে পারে হৈমন্তীর সূত্র ধরেই। তিনিই হয়ে উঠতে পারেন নিয়োগকাণ্ডের জট খোলার ট্রাম কার্ড।
বিলাসবহুল জীবনযাত্রা হৈমন্তীর!
সূত্রের খবর, গোপাল দলপতির দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন এই হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় (Haimanti Ganguly)। পেশায় মডেল এই মহিলার সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেম করার পর বিবাহ করেছিলেন গোপাল দলপতি। যদিও বর্তমানে তাঁদের বিচ্ছ্বেদ হয়ে গিয়েছে। তাঁরা আর একসঙ্গে থাকতেন না। পৈতৃক বাড়ির পাশাপাশিই টালিগঞ্জে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে হৈমন্তীর। এছাড়াও মুম্বইয়ের নরিম্যান পয়েন্টে একটি তাঁর নামে একটি সংস্থাও রয়েছে। দামি দামি গাড়ি, ব্র্যান্ডেড পোশাকে প্রায়শই দেখা যেত হৈমন্তীকে। তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাত্রা ছিল টক অফ দ্য টাউন।
২০১৩ সাল থেকে হৈমন্তী অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস প্রাইভেট লিমিটেড নামে ওই সংস্থার একটি অফিস রয়েছে কলকাতার বিবাদি বাগেও। যৌথভাবে এই সংস্থা চালাতেন গোপাল দলপতি এবং হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁদের নামে একাধিক যৌথ অ্যাকাউন্টও রয়েছে। সেখানে লাখ লাখ টাকার লেনদেন হত বলেই অনুমান CBI এবং ED-র। ইতিমধ্যেই সেই অ্যাকাউন্টের একাধিক নথি হাতে এসেছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। সব মিলিয়ে তদন্তকারীদের নজরে এখন এই রহস্যময়ী নারী।