সেই মতো আজ শুক্রবার সকাল থেকেই জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় টহলদারি শুরু করলেন বন বিভাগের কর্মীরা। আর সকালে আবার সেই জায়গাতেই দেখা মিলল এক হাতির। সেই সময় ফায়ারিং করে হাতিটিকে জঙ্গলে ঢোকানো হয় বলে খবর মিলেছে। বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জার সঞ্জয় দত্তর নেতৃত্বে বনকর্মীদের বিরাট ফোর্স নিয়ে টহল দেওয়া হচ্ছে শহর ও জঙ্গল এলাকা জুড়ে।
সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বন দফতরের গাড়িতে করে মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিন রাজগঞ্জ ব্লকের মহারাজ ঘাট এলাকার ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌছানোর বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে বন বিভাগের পক্ষ থেকে।
টাকিমারি এলাকা থেকে বনবিভাগের গাড়িতে করে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বেলাকোবা সহ বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিশেষ গাড়িতে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও, তাঁদের সঙ্গে থাকছেন বন দফতরের নিরাপত্তাকর্মীরা। নজর রাখা হচ্ছে হাতির গতিবিধি সম্পর্কেও।
বন দফতর সূত্রে খবর, হাতির সংখ্যা উত্তরবঙ্গে বেড়েছে যেমন, তেমনি আসাম থেকে আসা হাতির অনেকগুলি দলছুট হয়ে সারা বছর এলাকায় রয়ে যাচ্ছে। তাণ্ডব চালাচ্ছে। গত বছর অক্টোবর থেকে এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে হাতির আক্রমণে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল চার জন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই রাজ্যের বনাঞ্চল এলাকায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা না হয়, সে ব্যাপারে কয়েক দফা নির্দেশিকা জারি করেছে সরকার।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনে পরীক্ষা দিতে বাবার সঙ্গে বেরিয়েছিল অর্জুন দাস নামে এক পরীক্ষার্থী। সেই সময় জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল সংলগ্ন টাকিমারি এলাকায় হামলা চালায় দলছুট একটি দাঁতাল। হামলায় গুরুতর জখম হয় অর্জুন। তাকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় অর্জুনের।
এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। মুখ্যমন্ত্রী সেই সময় ছিলেন শিলিগুড়িতে। তাঁর কানে এসেও পৌঁছয় এই খবর। ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে তিনি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে কড়া ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন বন দফতরকে।