সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা বন দফতরকে খবর দিলে বন দফতরের দুটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দীর্ঘ আট ঘন্টার প্রচেষ্টায় অবশেষে রাত একটা নাগাদ কুমিরটিকে ধরে ফেলতে সক্ষম হয় বন দফতর। এই বিষয়ে বন দফতর জানিয়েছে, পূর্ণবয়স্ক কুমিরটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫ ফুট। এটি একটি পুরুষ কুমির।
আপাতত সেটিকে বন দফতরের ধনচি রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উদ্ধার হওয়া কুমিরের শরীরে কোনও আঘাত নেই। সে সুস্থ আছে বলে জানিয়েছে বন দফতর। সেখানে তার শারীরিক পরীক্ষা নিরিক্ষার পর আজ শুক্রবার সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বন দফতরের আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে নাগাদ লোকালয়ের একটি পুকুরে কুমিরটিকে ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা। লোকালয়ের পুকুরে বিশালাকার কুমির ঢুকে পড়েছে, বন দফতরকে এই খবর পাঠানো হয়। খবর পাওয়ামাত্রই ভগবানপুর কুমির প্রকল্পের রেঞ্জ অফিসারের নেতৃত্বে একটি বিশেষ উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
ওই দলটিকে সাহায্য করতে রামগঙ্গা রেঞ্জের ধনচি বিট অফিস থেকে ঘটনাস্থলে যায় সাহায্যকারী অন্য একটি দল। প্রায় ৮ ঘন্টা পর রাত প্রায় একটা নাগাদ বন দফতর কুমিরটিকে জালবন্দি করে। এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “যে পুকুরে কুমিরটিকে আমরা দেখতে পাই, তা গ্রামেরই একজনের। ওখানে কুমিরটিকে দেখা যেতেই আমরা পুকুরের মালিককে গিয়ে খবর দিই।
তারপর এত বড় কুমির দেখে সবাই বন দফতরে খবর দেওয়ার কথা বলেন। বন দফতরের কর্মীদের সঙ্গে আমরাও এই কুমির ধরতে সাহায্য করি। তাতেও অনেক সময় লেগে যায়”।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যেই পথ ভুলে নদীর কাছাকাছি গ্রামের পুকুরে এভাবেই চলে আসে কুমির। এমন ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে সঙ্গে সঙ্গে বন দফতরকে জানানোর পরামর্শ দেন ওই আধিকারিক। আশ্বাস দেন, বন দফতরের অভিজ্ঞ উদ্ধারকারী দল সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে।