পিয়ালি মিত্র: খোঁজ পাওয়া গেল গোপাল দলপতির। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে আগামী ২ মার্চ তাঁকে সিবিআই-এর সামনে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে এতদিন ধরে যাকে খোঁজা হচ্ছিল সেই গোপাল দলপতির খব অবশেষে পাওয়া গিয়েছে। এতদিন অনুমান করা হচ্ছিল তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। কিন্তু জানা গিয়েছে যে তিনি নিজে সিবিআই-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে এই মুহূর্তে তিনি কাজের সূত্রে বাইরে রয়েছেন এবং ২ তারিখে তিনি কলকাতাতে ফিরবেন। তিনি আরও জানিয়েছেন ২ তারিখে ফিরে সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে দেখা করবেন। তিনি সিবিআই-এর কাছে আরও জানিয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে কুন্তল ঘোষ যে বয়ান দিয়েছেন তা সঠিক নয়। তিনি জানিয়েছেন সিবিআই-এর সঙ্গে দেখা করে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেবেন।
আরও জানা গিয়েছে যে সিবিআই-এর তদন্তকারি অফিসাররা হৈমন্তিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে। কন্তল ঘোষ যে বয়ান দিয়েছেন এবং তদন্তে যা উঠে এসেছে তাতে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে জানা গিয়েছে। এই হৈমন্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্টেরও টাকা গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি হৈমন্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের একাধিক ব্যবসা রয়েছে এবং মুম্বইয়ে তাঁর অফিস রয়েছে। যদিও এর মধ্যে অনেকগুলিই খাতা কলমে থাকলেও এর বাস্তবে কোনও অস্তিত্ব নেই।
আরও পড়ুন: SSC Scam: শিক্ষক নিয়োগে অ্যাপ্টিটিউড টেস্টই নেওয়া হয়নি! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন টেটের বহু পরীক্ষক
ফলত এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির টাকাকে ব্ল্যাক থেকে হোয়াইট কয়া হয়েছে কিনা সেই বিষয়েও নজর রাখছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
আরও পড়ুন: Kuntal Ghosh: রহস্য ভেদ! জানুন কে কুন্তলের সেই রহস্যময়ী নারী
শহরের বিভিন্ন জায়গায় গোপাল দলপতির অফিস ছিল। বিভিন্ন সংস্থার নামে সেই অফিস খোলা হয়েছিল। ফলে তদন্তকারী অফিসারদের বক্তব্য গোপাল দলপতিকে তাঁরা একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। সেই সময় বিভিন্ন ব্যবসার কথা বললেও তাঁদের বাস্তবে কোনও অস্তিত্ব নেই।
অভিযোগ উঠেছে এই গোপাল দলপতি আসলে তাপস মন্ডলের হয়ে নিয়োগপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কাজ করতেন তিনি।