সঙ্গে সঙ্গে হুলাপার্টিকে নিয়ে হাতিটিকে অনুসরণ করেন বন দপ্তরের কর্মীরা। শুক্রবার ভোরে হাতিটি রণডিহা হয়ে চলে আসে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে। মাধ্যমিক পরীক্ষার কথা ভেবে দ্রুত হাতিটিকে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করা হয়। ঘুমন্ত অবস্থায় হাতিটিকে ট্রাকে চাপিয়ে বেলিয়াতোড় হয়ে ঝাড়গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।
বর্ধমানের এডিএফও সোমনাথ চৌধুরী বলেন, ‘গজলডোবার ঘটনার পর আমাদের কাছে নির্দেশ এসেছে মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় হাতির করিডরে নজরদারি বাড়াতে হবে। হাতি তাড়ানোর অভিযানে বেশি সময় নেওয়া যাবে না। তাই ঝুঁকি না নিয়ে সকাল ৮টার সময় হাতিটিকে ঘুমপাড়ানি গুলিতে নিস্তেজ করা হয়। সব প্রস্তুতিই ছিল। ক্রেনের সাহায্যে হাতিটিকে ট্রাকে তুলে ঝাড়গ্রামের উদ্দেশে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়।’
পথে হাতিটিকে আনা হয় উত্তর বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় রেঞ্জ অফিসে। সেখানে শরীরে পর্যাপ্ত জল দেওয়ার পাশাপাশি গজরাজের শারীরিক পরীক্ষাও করা হয়। তার পর হাতিটিকে নিয়ে ঝাড়গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয় বন দপ্তরের গাড়ি। মুখ্য বনপাল (কেন্দ্রীয় চক্র) এস কুলানডাইভেল বলেন, ‘হাতিটি সুস্থ রয়েছে। ঝাড়গ্রামের ঘন জঙ্গলে ওকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’
বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দামোদর পেরিয়ে কসবায় হাতি ঢোকার খবর রাতেই বর্ধমান রেঞ্জকে জানিয়ে দেন বাঁকুড়ার বনাধিকারিকরা। ফলে আগে থেকেই হুলাপার্টি নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন বর্ধমান রেঞ্জের বনকর্তারা। রাত প্রায় একটা নাগাদ হাতিটি এলেও কোনও ক্ষতি করেনি। কিন্তু এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে ছুটোছুটি করছিল।
এদিন সকাল পৌনে ৬টা নাগাদ হাতিটিকে ফের সোনামুখীতে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দামোদরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। বনকর্মীরা জানান, নদীর মাঝে গিয়ে ফের কসবার দিকে চলে আসে হাতিটি। এর পরেই ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।