হৈমন্তীর বাড়ির সিঁড়িতে সুপারিশ লিস্ট?
শনিবার সকালে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের বেহালার বাড়ির সিঁড়ি থেকে পাওয়া যায় একাধিক কাগজ। যেখানে উল্লেখ ছিল বেশ কিছু রোল নম্বর। বুঝতে আর বাকি থাকে না, এগুলো চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা। জানা গিয়েছে, এই রোল নম্বরগুলি আদতে ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার্থীদের। যা নিয়ে কার্যত ফুঁসে উঠেছেন আন্দোলনকারী টেট প্রার্থীরা। মাতঙ্গিনী হাজরা মূর্তি পাদদেশে এখনও ধরনায় বসে অনেকেই।
তাঁদের মধ্যে ২০১৪ সালের প্রার্থী অচিন্ত্য সামন্ত এই সময় ডিজিটালকে বলেন, “আমাদের সঙ্গেই ২০১৪ সালে পরীক্ষা দিয়েছিল এমন তিনজনের নাম পাওয়া গিয়েছে ওই তালিকায়। তাঁদের নাম মেরিট লিস্টে রয়েছে। ২০২০ সালে পর্ষদের নিয়োগ তালিকা থেকে আমরা এই তিনজনকে চিহ্নিত করতে পেরেছি। আমরা মনে করে এরা সুপারিশের জন্যই হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে নাম দিয়েছিল। এদের চাকরি হয়েছে সুপারিশের মাধ্যমেই।”
বিস্ফোরক এই অভিযোগ তোলার পাশাপাশি অচিন্ত্য সামন্ত বলেন, “আমাদের মতো কিছু যোগ্য চাকরিপ্রার্থী দিনের পর দিন রাস্তায় ধরনায় বসে রয়েছি। এখনও চাকরি পাচ্ছি না। আর এদিকে, সুপারিশের মাধ্যমে এভাবে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন কিছু মানুষ। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ির সিঁড়ি থেকে পাওয়া রোল নম্বরগুলি আদলতে একটি সুপারিশ পত্রের তালিকা।” গুঞ্জা সরকার, প্রলয় কুমার গায়েন এবং সুশেন্দু হালদার নামে তিন প্রার্থীর নাম পাওয়া গিয়েছে হৈমন্তীর সিঁড়ি থেকে পাওয়া তালিকায়। তাঁদের দিকেই আঙুল তুলছেন আন্দোলনকারী টেট প্রার্থীরা।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে টেট পরীক্ষার নোটিফিকেশন বেরিয়েছিল। ২০২১ সালে তাঁদের ইন্টারভিউ হয়েছিল। এরপর নিয়োগ হয় ১৬ হাজার ৫০০ জনের। ১২ হাজার ৫০০ জনের নিয়োগ এখনও বাকি। যা এই মুহূর্তে বিচারাধীন।