সে পাঁচগাছিয়া আদর্শ বিদ্যালয়ের ছাত্র। সেখান থেকেই এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছিল গৌতম। কন্যাপুর বেসিক হাইস্কুলে গৌতমের মাধ্যমিক পরীক্ষার সেন্টার পড়েছিল। শনিবার ছিল ভূগোল পরীক্ষা। কিন্তু তার আগে শুক্রবার গৌতম নুনিয়ার মাথায় দুর্ভাগ্যবশত ইঁট পড়ে যায়। শনিবার সকালে তার পরিবারের লোকেরা আসানসোল জেলা হাসপাতালে গৌতমকে ভর্তি করেন।
যদিও হাসপাতালে পরীক্ষা করে দেখা হয়, গৌতমের অবস্থা স্থিতিশীল। তার সিটি স্ক্যান করেও দেখা যায় স্নায়বিক কোনও সমস্যা নেই গৌতমের। পাশাপাশি গৌতমও রাজি হয়ে যায় পরীক্ষা দিতে। এরপর জেলা হাসপাতালেই গৌতমের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। শিক্ষা দফতর ও প্রশাসনের তরফে জেলা হাসপাতালে তার পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।
আলাদা কেবিনে পুলিশ প্রহরা এবং বোর্ডের লোকের উপস্থিতিতে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পরীক্ষা দেয় ওই ছাত্র। আসানসোল জেলা হাসপাতালে সুপার নিখিল চন্দ্র দাস জানান, “আপাতত ওই ছাত্রের অবস্থা স্থিতিশীল। আমরা তাকে আরও একটু অবজারভেশনে রাখব এবং তার আরও একবার যাবতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে। সেইসব করার পরেই তাকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা যাবে”।
এদিকে, হাসপাতালের বেডে বসে পরীক্ষা দিতে পেরে খুব খুশী গৌতম নুনিয়া। এই বিষয়ে সে জানায়, “ভাবিনি যে পরীক্ষা দিতে পারব। প্রশাসন সেই ব্যবস্থা করে দেওয়ায় আমি খুব খুশি”। পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেওয়া পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া “নিজেদের কর্তব্য পালন করেছি”।
গৌতমের বাবা এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জানান, “শুক্রবার গৌতম ঠিকঠাক ভাবেই পরীক্ষা দিয়ে এসেছিল। তারপর বাড়ির পাশেই দুর্ঘটনাবশত ওর মাথায় ইঁট পড়ে যায়। পরীক্ষা চলছে বলে আর ঝুঁকি নিইনি। সোজা হাসপাতালে নিয়ে আসি।
ভয় লাগছিল যে আর পরীক্ষা দিতে পারবে কিনা। কিন্তু যেভাবে সবাই পাশে দাঁড়িয়ে আমার ছেলেকে পরীক্ষা দিতে সাহায্য করেছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। নাহলে আমার ছেলের বছর নষ্ট হয়ে যেত”।