পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া পুরসভার (Panskura Municipality) ৫নং ওয়ার্ডের নারান্দা এলাকার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী প্রিয়াঙ্কা বেরা। আজ সকালে ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান বাড়ির লোকজন। কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রেমঘটিত কারণ কিংবা এর পেছনে অন্য কিছু কারণ রয়েছে তা তদন্ত করছে পাঁশকুড়া থানার (Panskura Police Station) পুলিশ।
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকায়। পাঁশকুড়া গার্লস স্কুলের ছাত্রী ছিল প্রিয়াঙ্কা বেরা। এ বছর সে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছিল। এখনও পর্যন্ত সূচি অনুযায়ী মাধ্যমিকে তিনটে পরীক্ষা দেয় সে। কিন্তু বাকি পরীক্ষা আর দেওয়া হল না প্রিয়াঙ্কার। পরীক্ষা চলার মাঝেই সে আত্মঘাতী হল বলে জানিয়েছেনপরিবারের লোকজন
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গলা ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় তাঁকে। পরিবারের লোকজনই প্রথমে বিষয়টি লক্ষ্য করেন। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের ডাকাডাকি করা হয়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রিয়াঙ্কার বাবা ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত। বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ রয়েছেন তিনি। দুদিন আগেই অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ার কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই সংক্রান্ত বিষয়ে প্রিয়াঙ্কার মনে ছাপ ফেলে থাকতে পারে বলেও ধারণা পরিবারের সদস্যদের।
প্রিয়াঙ্কার পরিবারের এক সদস্য সুতপা বেরা বলেন, “ও তো কাল পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল। ভালোই ছিল। কিন্তু হঠাৎ কী হল, জানি না। ওর মনের খবর আমরা কী করে বলব ?” এদিন ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর খবর দেওয়া হয় পাঁশকুড়া থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পরিবারের লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর এহেন মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।