আগামী সোমবার সব দপ্তরের সচিবের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে শনিবার ছুটির দিনে বিভিন্ন দপ্তরের সচিব এবং জেলাশাসকদের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সচিবরা বৈঠকে সশরীরে হাজির থাকলেও জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে কথা বলেন মুখ্যসচিব। এটাকে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের প্রস্তুতি হিসেবেই দেখছেন অনেকে।
নবান্ন সূত্রের খবর, বৈঠকে রাস্তা, পানীয় জল সরবরাহ, গ্রামীণ আবাস নির্মাণ, সামাজিক সহায়তা প্রকল্পের সুবিধা প্রদান, সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি, সাবসেন্টার, অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার তৈরি, পথসাথী নির্মাণ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে দপ্তর ধরে ধরে কাজের খতিয়ান নেন মুখ্যসচিব। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন, কৃষি, আদিবাসী উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, পূর্ত, সেচ ও জলপথ, পরিবহণ দপ্তর-সহ প্রায় প্রতিটি দপ্তর নিয়ে আলোচনা হয়।
জেলায় যত ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নির্মাণের কাজ বাকি রয়েছে, সেগুলি দ্রুত শেষ করতে বলা হয়। যে সব দপ্তরে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে, সে-সবও দ্রুত সম্পূর্ণ করতে বলা হয়েছে। কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিলের টাকা খরচ, বাংলা কৃষি-সেচ যোজনা, মাটির সৃষ্টি, এফপিও গঠন, ওবিসিদের জন্যে মেধাশ্রী প্রকল্পে নাম নথিভুক্তকরণ, শিক্ষাশ্রী স্কলারশিপ, ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড, রাস্তাশ্রী, হ্যান্ডলুম ক্লাস্টার, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচের বিষয়েও আলোচনা হয়।
মুখ্যসচিব জানিয়ে দেন, কোনও কাজ ফেলে রাখা যাবে না। অবিলম্বে কাজ শেষ করতে হবে। কাজে ঢিলেমির জন্যে কয়েকটি দপ্তরের সচিব এবং কয়েক জন জেলাশাসককে সতর্কও করেন তিনি।
নবান্নের এক শীর্ষ কর্তার ব্যাখ্যা, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের দিকে তাকিয়ে সরকারি কাজে আরও গতি বাড়াতে চাইছে রাজ্য। সে জন্যেই গত এক মাসে এই নিয়ে চার বার সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব। মুখ্যসচিব আরও একটি বিষয়ে অফিসারদের সতর্ক করেছেন। সেটা হলো, মুখ্যমন্ত্রীর কোনও অনুষ্ঠানে এখন থেকে আর রান্না করা খাবার দেওয়া যাবে না।
ডিএমদের প্রতি তাঁর পরামর্শ, মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যাঁরা যোগ দিতে আসবেন, তাঁদের রান্না করা খাবারের বদলে যেন প্যাকেটে শুকনো খাবার দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগে শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি অনুষ্ঠানে বিরিয়ানির প্যাকেট দেওয়া হয়েছিল। সেই বিরিয়ানির মান খারাপ হওয়ায় অনেকেই খেতে পারেননি।