Narayan Goswami : ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে হরিনাম সংকীর্তন, রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ সামলে সম্প্রীতির বার্তা তৃণমূল বিধায়কের – trinamool congress mla narayan goswami sings harinam sangkirtan on the campaign of didir doot


West Bengal News: দলের প্রতিষ্ঠাতা দিবসের পরই দলীয় কর্মীদের জন্য ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি চালু করেছিল তৃণমূল। দলের সাংসদ, বিধায়ক থেকে মন্ত্রী ও অন্যান্য পদাধিকারীরা সাধারণ মানুষের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের যাবতীয় সমস্যার কথা শুনেছেন। অনেক তৃণমূল নেতাকে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে।

দলীয় কর্মসূচির প্রচারে গিয়ে রাস্তা নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েন অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীও (Narayan Goswami)। কিন্তু, রবিবার দিদির দূত কর্মসূচিতে অন্য ভূমিকায় দেখা গেল তৃণমূল বিধায়ককে। দিদির দূতের প্রচারে নেমে বিধায়ককে রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় মহিলাদের একাংশ।

Shatabdi Roy : ‘শুধু নেতাদের পকেট ভারী হচ্ছে’, বীরভূমে ফের বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী
এলাকার মহিলাদের সঙ্গে কথা বলার পর বিধায়কের চোখে পড়ে যে স্থানীয় একটি বাড়িতে হরিনাম সংকীর্তন চলছিল। সেখানে হঠাৎ ঢুকে যান তৃণমূল বিধায়ক। মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে কীর্তন করতে শোনা যায় তৃণমূল বিধায়ককে। এদিন দিদির দূত কর্মসূচিতে শ্রীকৃষ্ণপুর পঞ্চায়েত এলাকায় কয়েকশো বাইক নিয়ে র‌্যালি করেন তৃণমূল বিধায়ক। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাইক চালিয়ে এলাকায় ঘোরেন তিনি।

মহিলাদের কাছে রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ শুনে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে দ্রত রাস্তা মেরামত নিয়ে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন তৃণমূল বিধায়ক। তিনি বলেন, “সকলের সঙ্গে কথা বলে রাস্তা তৈরি করতে কত খরচ তার আনুমাণিক হিসেবে করে পঞ্চায়েতর অনুমতি নিয়ে আমার কাছে দেবেন। আমি এটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে পাঠিয়ে দেব।”

Abhishek Banerjee : অভিষেকের বাড়ি যাওয়ার আগেই ধৃত পদ্ম কর্মীরা
বিধায়ক জানিয়েছেন, গ্রামের মানুষ যদি রাস্তা তৈরি করার জন্য জায়গা দেয়, তবে ১৫ দিনের মধ্যে এখানে রাস্তা তৈরি করা হবে। তাঁর জন্য স্ট্যাম্প পেপারে লিখে জমা দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। সাধারণ মানুষের যাবতীয় সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিধায়ক বলেন, “অভিযোগ নয়, গ্রামবাসীরা আমাদের কাছে দাবি জানিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি পেয়ে মানুষ তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। আমরা সব নথিভুক্ত করলাম। আজ আমার বৈঠকে বসব, সেখানে সবার সঙ্গে কথা বলে যাবতীয় সমস্যার সমাধান আমরা করব।”

CPIM West Bengal : নজিরবিহীন আর্থিক বৈষম্যের অভিযোগ, রাজ্যের একমাত্র CPIM পরিচালিত পঞ্চায়েতের কী অবস্থা?
এদিন স্থানীয় একটি বাড়িতে হরিনাম সংকীর্তনে অংশ নেন তৃণমূল বিধায়ক। তাঁকে মাইকে গান করতেও শোনা যায়। তিনি বলেন, “আমাদের সংস্কৃতিকে তো ভোলা যায় না। বাংলায় সব ধর্মের মানুষের ভাইয়ের মতো বসবাস করে। কেন্দ্রের একটা দল রয়েছে, যাঁরা জাতপাতের নামে বিভাজন করতে চায়, আমরা তাঁর বিরুদ্ধে। কীর্তন করলাম, এবার একটু পড়ে মসজিদে যাব। সেখানকার সমস্যার কথাও শুনব।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *