কী বার্তা রাজ্যপালের?
রাজভবন সূত্রে খবর, এদিন রাজ্যের কাছে গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। পাশপাশি তাঁর বক্তব্য, “আইনশৃঙ্খলার অবণতি হলে রাজভবন চুপ থাকবে না। কোনও নৈরাজ্য এ রাজ্যে বরদাস্ত করা হবে না। সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বাংলার মতো একটি সংস্কৃতিবান এবং ঐতিহ্যপূর্ণ রাজ্যে অগণতান্ত্রিক কার্যকলাপ কখনই কাম্য নয়। আমি মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের থেকে সবটা বিস্তারিত শুনেছি। গোটা ঘটনায় আমি শকড! কোনওভাবেই বাংলায় আইন শৃঙ্খলার অবণতি হতে দেওয়া যাবে না। শক্ত হাতে এর মোকাবিলা করা হবে।”
একইসঙ্গে রাজ্যপাল বলেন, “ভয় এবং পক্ষপাতদুষ্ট না হতে পুলিশ এবং প্রশাসনকে কাজ করতে হবে। রাজ্যে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সময় উপযোগী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে রাজভবন। কারণ সভ্য সমাজে হিংসার কোনও স্থান নেই। নির্মমভাবে হিংসা উপড়ে ফেলা হবে।”
রাজভবনের বিবৃতি
সি ভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose) আরও বলেন, “গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোয় প্রতিবাদ করা যায় কিন্তু, কেউ আইন হাতে তুলে নিতে পারেন না।”
নিশীথের কনভয়ে হামলা
উল্লেখ্য, শনিবার কোচবিহারের দিনহাটার বাসন্তীতে আক্রমণের মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামণিক (Nisith Pramanik)। ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন নিশীথ। তিনি বলেন, “তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী আমাদের বাধা দেয়নি। পুলিশ প্রশাসন ব্যারিকেড করে আমাদের বাধা দিয়েছে। রাস্তার মাঝাখানে পুলিশ ব্যারিকেড করে আমার পথ আটকায়। তারপরই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা পাথর ছোড়ে, বোমা মারে এমনকী গুলিও চালানো হয়। এই ঘটনা চলতে থাকলে বাংলার মানুষ আতঙ্কিত হবে।”