২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে যাদের ঘর বরাদ্দ হয়েছিল, সেই উপভোক্তাদের হাতে এদিন টাকা তুলে দেওয়া হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জেলা শাসক পবন কাদিয়ান, পুলিশ সুপার সুমিত কুমার সহ পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা।
এদিন অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “উপভোক্তাদের সমস্ত টাকাই পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কাগজপত্রের সমস্যার জন্য আরও কিছু উপভোক্তা বাদ পড়েছেন। পরবর্তীকালে তাঁদের এই প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হবে।” ২০১৫-২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত শহরাঞ্চলে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষজনের মাথার উপর ছাদ তৈরি করে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে চালু হয়েছিল ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প।
কিছুদিন আগেই ৪৩৮ জন উপভোক্তা এই প্রকল্পে বাড়ি তৈরির টাকা পেয়ে গিয়েছিলেন। ২০২০ সালের মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে করোনা পরিস্থিতির কারণে কাজের গতি কমে গিয়েছিল। করোনা পরিস্থিতির উন্নতির পর ফের ওই কাজে গতি আসার পরে গত বছর নভেম্বর মাসে ২০১৯-২০, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ আর্থিক বছর মিলিয়ে আবাস যোজনায় জেলায় তৈরি হওয়া মোট ১ লাখ ৯২ হাজার পাকাবাড়ির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছিল।
আবাস যোজনার উপভোক্তা তালিকার বাইরে থাকা গরিব মানুষদের পাকাবাড়ি তৈরির জন্য ‘আবাস প্লাস’ যোজনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০১৮ সালে সমীক্ষার ভিত্তিতে ওই প্রকল্পের উপভোক্তা তালিকা তৈরির কাজ হয়েছিল। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, আবাস যোজনায় পাকাবাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৯ শতাংশ কাজ হয়েছে। বাকি কাজ শেষ করতে প্রতিটি পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে সব গরিব পরিবার রয়েছে তাদের চিহ্নিত করতে সমীক্ষা চলছে।