Bengal BJP : ‘অসহায়’ নেতারা, পদ্ম কর্মীদের প্রশ্ন, অভয় দেবেন কে – bengal bjp faced protest in several districts clash still going with tmc


এই সময়: নেতারা ‘দেখে নেওয়ার’ বার্তা দিচ্ছেন। তবে তাতে কর্মীরা ভরসা পাচ্ছেন কি? কারণ, তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে চড়াও হওয়ার পাল্টা হুমকি ছাড়া এখনও কোনও প্রতিবাদ সংগঠিতই করতে পারেননি বঙ্গ-বিজেপি নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক এবং রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদাররা দফায় দফায় তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন।

TMC Vs BJP : কে ঘিরবে কার ঘর নয়া চ্যালেঞ্জ বঙ্গ রাজনীতিতে
জবাবে কোথাও বিজেপি নেতাদের পথে নামতে দেখা যায়নি। রবিবার কিছু থানার বাইরে প্রতীকী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হলেও তা নাম-কে-ওয়াস্তে বলেই ঘনিষ্ঠ মহলে কবুল করেছেন গেরুয়া শিবিরের অনেক শীর্ষ নেতাই। তবে নিজেরা পথে না নামলেও রাজ্যের শাসকদলের মন্ত্রীদের রাস্তায় দেখলে বেঁধে রাখার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন তাঁরা।

Abhishek Banerjee : অভিষেকের বাড়ি যাওয়ার আগেই ধৃত পদ্ম কর্মীরা
যা দেখে হুগলির এক বিজেপি নেতার মন্তব্য, ‘সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে নেতারাই আক্রান্ত হচ্ছেন। তার কোনও প্রতিবাদ হচ্ছে না। শুধু মুখে বড় বড় কথা বলছেন দিলীপ ঘোষরা। এর পর কোন ভরসায় কর্মীরা মাঠে নামবেন?’

Dilip Ghosh: ‘যাদের মুখ কালো, তারাই কালো পতাকা দেখায়,’ নেতাদের বাড়ি গিয়ে লাথি মারার নিদান দিলীপের
সম্প্রতি নিশীথের বাড়ির বাইরে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের জবাবে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, প্রয়োজনে তাঁরা দ্বিগুণ লোক নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ঘেরাও করবেন। সুকান্তই শনিবার তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। একই দিনে নিশীথের গাড়িতেও হামলার অভিযোগ উঠেছে।

Dilip Ghosh: ‘দিলীপ ঘোষ মানসিক ভারসাম্যহীন’, তীব্র কটাক্ষ রবীন্দ্রনাথ ঘোষের
তাঁদের হয়ে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গিয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। দিলীপের হুঁশিয়ারি, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গাড়িতে হামলা হচ্ছে। পার্টির রাজ্য সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে।

Nisith Pramanik: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলা, ছোড়া হল বোমা-পাথর
আমরাও মুখ্যমন্ত্রী-সহ রাজ্যের সব মন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করতে পারি। মন্ত্রীরা রাস্তায় বেরোলে গাছে বেঁধে রাখতে পারি। তৃণমূল নোংরা রাজনীতি করছে। বিজেপি এই রাজনীতি করে না। কিন্তু বাধ্য করলে মন্ত্রীদের রাস্তায় পেলে গাছে বেঁধে রাখব।

Dilip Ghosh : ‘রাজ্যের মন্ত্রীদের গাছে বেঁধে রাখতে পারি…’, ফের স্বমহিমায় দিলীপ ঘোষ
আমাদেরও লোকবল আছে।’ যদিও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, ‘দিলীপ ঘোষ এলোমেলো কথা বলছেন। বিজেপি আশান্তি পাকাতে চাইছে। উল্টে তৃণমূল কর্মীরাই এলাকা শান্ত রাখার চেষ্টা করছেন।’

Asit Mazumdar : ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে তুলকালাম, বিধায়কের উপস্থিতিতে বচসা গড়াল হাতাহাতিতে!
হামলা এবং পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারির তরজার পাশাপাশি বঙ্গ-বিজেপি নেতৃত্বকে চিন্তায় রেখেছে নিচুতলার কর্মীদের মনোবল। কারণ, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ঘোরা দলের প্রথম সারির নেতারাই এত দিন ছিলেন তৃণমূলস্তরের কর্মীদের ভরসার জায়গা। এমনকী, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়েও উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাগুলিতে দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে একজন করে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাওয়া নেতাকে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিলেন বঙ্গ-বিজেপি নেতৃত্ব।

Dinhata TMC-BJP : বিজেপি কর্মীদের বাড়ি-দোকান ভাঙচুর, সংঘর্ষের পর দিনহাটায় ‘শ্মশানের শান্তি’
তবে ইদানীং ওই নেতারাই যে ভাবে বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন, তাতে কোন ভরসায় পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থীরা তাঁদের সঙ্গে মনোনয়ন জমা দিতে যেতে রাজি হবেন, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় তৈরি হয়েছে। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিজেপি মতাদর্শ নির্ভর পার্টি। বিজেপি কর্মীরা নেতার মুখ দেখে রাজনীতি করেন না, আদর্শকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য করেন। তৃণমূলের এই ঔদ্ধত্য, অনৈতিকতা নিকট ভবিষ্যতে খড়কুটোর মতো ভেসে যাবে। মানুষই এ সব বরদাস্ত করবে না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *