হাসপাতাল চত্বরে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের একটি ইঞ্জিন। দমকলকর্মীদের কিছুক্ষণের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে হাসপাতালের আগুন। হাসপাতাল চত্বরে আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়তে রোগী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
দমকল ও হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই আগুনের ফলে কোনও রোগী বা হাসপাতালের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। টর্চ ও মোবাইলের ফ্লাশ জ্বালিয়ে রোগীদের পরিষেবা দেন ডাক্তার নার্স ও হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। কীভাবে হাসপাতালের বাইরে থাকা ওই ঝোপে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হাসপাতালের এক কর্মী এই প্রসঙ্গে বলেন, “হঠাৎ করেই হাসপাতালের বাইরে থাকা আগাছাতে আগুন লাগে। কী থেকে আগুন লাগল আমরা বলতে পারব না। খবর দিলে দমকল এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। তবে এই কারণে হাসাপাতালে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় বেশ কিছু যন্ত্র বিদ্যুৎচালিত। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
অন্যদিকে হাসপাতালে থাকা রোগীর আত্মীয় মিঠুন কোলে এই প্রসঙ্গে বলেন, “আগুন লাগার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। আমরাও খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। পরে দমকল এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে। শুনলাম হাসপাতালের বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ হয়ে রয়েছে।”
উল্লেখ্য, রবিবার ভোররাতে আসানসোল পুরসভার ১০২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর ইন্দ্রানী আচার্যের বাড়িতে আগুন লাগে। ঘটনার সময় স্বামীর সঙ্গে নিজের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন বিজেপি কাউন্সিলর। আগুন লাগার কথা জানতে পেরেই পরিবারের সকল সদস্যরা বাইরে বেরিয়ে আসেন। কাউন্সিলরের বাড়ির দোতলার আসাবাবপত্র ও অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী পুড়ে গিয়েছে।