সিভিক ভলান্টিয়াররা ভালো কাজ করলে তাঁদের কনস্টেবল পদে পদোন্নতির ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা দেখতে স্বরাষ্ট্র দফতরকে পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই রয়েছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর। সোমবার বিভিন্ন দফতরের সচিবদের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।
তবে এই নিয়ে পলিসি তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারা এই পদোন্নতির জন্য বিবেচ্য হবে তা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করবে স্বরাষ্ট্রদফতর। সেই রিপোর্টের উপরই নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত।
তবে এই বাছাই পর্বের জন্য রয়েছে বেশ কিছু শর্ত। নবান্নে এদিনের আলোচনা অনুযায়ী বিগত সময়ে কীভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন ভলান্টিয়াররা সেই কাজের উপরেই হবে মূল্যায়ন। যে থানা এলাকায় কাজ করছেন যে সিভিক ভলান্টিয়ার, তাঁর রিপোর্ট তৈরি করবেন ওসি এবং এসডিপিও। এছাড়া যে থানায় কনস্টেবলের শূন্য পদ রয়েছে সেখানেই পদোন্নতির পর সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করার ভাবনা নবান্নের।
উল্লেখ্য, রাজ্যের বহু থানায় কনস্টেবলের পদ ফাঁকা রয়েছে। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে গত বছরই রাজ্য পুলিশ ডে (Police Day)-এর আগে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের নিয়মে বড় পরিবর্তন আনে সরকার। কনস্টেবল পদে আবেদনের বয়সসীমা বাড়িয়ে ২৭ বছর থেকে ৩০ বছর করে সরকার।
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, কনস্টেবল পদে (Constable Post) কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হলে সেক্ষেত্রে পরিবারের কাউকে চাকরি দেওয়া হলে, তার ক্ষেত্রে উচ্চতা, ছাতির দৈর্ঘ্য অর্থাৎ শরীরের মাপের ক্ষেত্রে দেওয়া হবে ছাড়। তবে তাদের সেই যোগ্যতা অনুযায়ীই দেওয়া হবে কাজ।
