পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতে খবর পেয়ে ধুপগুড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের দুটি গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে মৃদু লাঠিচার্জ করে পুলিশ, স্থানীয়দের এমনটাই দাবি। ইভটিজিংয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
২৫ ফেব্রুয়ারি ধুপগুড়ি ব্লকের ডাংধরি এলাকায় এক ছাত্রীকে ইভটিজিংয়েক অভিযোগ উঠেছে পাশের গ্রামের দুই যুবকের বিরুদ্ধে। টিউশনি থেকে ফেরার সময় বাইকে এসে দুই যুবক ইভটিজিং করে বলে অভিযোগ। খোঁজ করে যুবকদের সন্ধান পেয়ে বাড়িতে জানায় ওই ছাত্রী। আজ ইভটিজিংয়ের ঘটনায় দুইপক্ষ সালিশি সভায় বসে। এরই মধ্যে দুই অভিযুক্ত যুবক সেখানে এলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শুরু হয় চরম মারপিট।
খবর পেয়ে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্তদের উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের গাড়িতে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে উত্তেজিত জনতা। মারপিটকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ধূপগুড়ির বারোঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মান্তাপাড়া এলাকায়। এই ঘটনায় একজনের মাথাও ফেটেছে বলে অভিযোগ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ মৃদু লাঠি চার্জ করে বলে অভিযোগ। পুলিশের লাঠির ঘায়ে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে আহত অবস্থায় ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনেশ মজুমদার এলাকায় পৌছে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলার পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো বলেন, “ইভটিজিংয়ের ঘটনায় সালিশি সভা বসেছিল। সেখানে ওই দুই যুবক এসে পৌঁছনোয় উত্তজনা তৈরি হয়। সেখান থেকে মারপিট শুরু হয়ে যায়। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। দুইজন অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনেশ মজুমদার এই প্রসঙ্গে বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে উভয়পক্ষকেও বোঝানো হয়েছে। একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল। পুলিশ প্রশাসন এই ঘটনায় পদক্ষেপ করে কয়েকজনক ধরে নিয়ে গিয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমরা দু’পক্ষকেই বোঝানোর চেষ্টা করেছি। যাঁর মেয়েকে নিয়ে ঘটনা, আমি তাঁর বাড়িতেও গিয়েছিলাম। সবাইকে শান্ত থাকর কথা বলেছি।”