সোমবার ঝাড়গ্রাম শহর লাগুয়া শ্রীরামপুরের একটি বেসরকারি হোম-স্টেতে ডাক বিভাগের তরফে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠান থেকেই পোস্ট কার্ড গুলির উদ্বোধন করেন ভারতীয় ডাক বিভাগের পোস্টমাস্টার জেনারেল (সাউথ বেঙ্গল রিজিয়ন) শশীশালিনী কুজুর। ডাক বিভাগের অন্যান্য আধিকারিকরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
পশ্চিমবঙ্গ মানচিত্রে পর্যটনের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হল ঝাড়গ্রাম। শালের জঙ্গলে ঘেরা অরণ্য সুন্দরীর সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্যই সারা বছরের দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তের বহু পর্যটকের এখানে আনাগোনা রয়েছে। এবার ডাক বিভাগের এই উদ্যোগের ফলে ঝাড়গ্রামের পর্যটনের আরও বিস্তার ও প্রচার হবে বলেই আশাবাদী সেখানকার পর্যটন ব্যবসায়ীরা ।
ভারতীয় ডাক বিভাগের পোস্টমাস্টার জেনারেল সাউথ বেঙ্গল শশীশালিনী কুজুর বলেন, “বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ স্থান বা গুরুত্বপূর্ণ উৎসব গুলির উপর স্পেশাল পিকচার পোস্ট কার্ড রিলিজ করা ভারতীয় ডাক বিভাগ। দেশ বিদেশের বিভিন্ন মানুষের কাছে সেই স্থানকে পৌঁছে দিতেই এই পোস্ট কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়। সেই কারণে গুরুত্বপূর্ণ ঝাড়গ্রামের রাজবাড়ি এবং চিল্কিগড়ের রাজবাড়িকে পিকচার পোস্টকার্ডের মাধ্যমে তুলে ধরেছি।
এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “এছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুরের নাড়াজোলের রাজবাড়ি এবং কুরুমবেড়া দুর্গকে তুলে ধরা হয়েছে। আপনারা সকলেই জানেন প্রতিটি পর্যটনস্থলে গিয়ে পর্যটকরা ছবি তোলেন এবং সেইগুলির ছবি তুলে পোস্ট করে। সেই ছবির মাধ্যমে পর্যটনকেন্দ্রের প্রচার হয়। ঠিক এইভাবেই পিকচার পোস্টকার্ড গুলি রিলিজ করা হয়েছে। মানুষ যখন এই পোস্টকার্ড গুলি কিনে বিভিন্ন জায়গায় পাঠাবে তখন তার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রচার হবে।”
তিনি জানিয়েছেন, দেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়বে এই পোস্টকার্ডগুলি। তাঁর মতে এই পিকচার পোস্টকার্ডগুলি অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ার ফলে সেই পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার হবে এবং সেই কারণে আরও বেশি সংখ্যক পর্যটক সেখানে আসবে। তিনি জানিয়েছএন পর্যটকদের আনাগোনা বাড়লে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে এবং বেশি সংখ্যক পর্যটক আসলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারেরও আর্থিক রোজগার বাড়বে বলেও জানিয়েছন তিনি।