সাংবাদিকরা এদিন নওশাদকে প্রশ্ন করেন সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কী ফলাফল হবে? জবাবে নওশাদ শান্তিপূর্ণ ভোট হবে কিনা, সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “ভোট হতে দেবে তো? ঠিকঠাক ভোট হলে বিধানসভাতে আরও একজন আমার সঙ্গে যুক্ত হবে। মানুষকে যদি সঠিকভাবে ভোট দিতে দেয় তবে, আমার সঙ্গে আরও একজন যুক্ত হবে।”
রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূল বিধায়ক সুব্রত সাহার (Subrata Saha) মৃত্যুর পর সাগরদিঘিতে নির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মীয় দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করছে তৃণমূল। কংগ্রেস-সিপিএম জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়ছেন বাইরন বিশ্বাস। অন্যদিকে দিলীপ সাহাকে এই কেন্দ্র প্রার্থী করেছে বিজেপি।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটের একমাত্র প্রার্থী হিসেবে ভাঙড় থেকে জয়ী হয়েছিলেন নওশাদ। ২১ জানুয়়ারি আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন হাতিশালায় তৃণমূল-ISF সংঘর্ষের ঘটনাক আঁচ পড়ে কলকাতাতেও। নওশাদের নেতৃত্বে ধর্মতলা অবরোধ করে আইএসএফ। সেখান থেকেই ওই ISF বিধায়ক সহ ১৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারির পর নওশাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা রুজু হতে থাকে। এমনকী নওশাদের প্রসঙ্গে বিস্ফোরক অভিযোগ করে তৃণমূল। শাসকদলের তরফে দাবি করা হয় নওশাদ ও তাঁর দলের সঙ্গে বিজেপির সরাসরি যোগ পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে। এমনকী তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার লেনদেন করা হয়েছে। এমনকী নওশাদের সঙ্গে বিজেপি শীর্ষনেতৃত্বের হোয়াটস্যাপ চ্যাট নিয়েও বিস্ফোরক দাবি করে তৃণমূল। শাসকদলের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপির বি টিমের ভূমিকা পালন করছে আদালত।
যদিও বাম, আইএসএফের পাশাপাশি বিজেপিরও দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে নওশাদকে ফাঁসানো হয়েছে। একাধিকবার নওশাদের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। চন্দন সেন, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্ষ, অম্বিকেশ মহাপাত্র, অনীক দত্তের মতো বুদ্ধিজীবীরা নওশাদসহ ৪৪ জনের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। আগামী দিনে এই মামলা কোন দিয়ে যায়, সেটাই এখন দেখার।