Satabdi Roy : আবাস যোজনা থেকে বার্ধক্য ভাতার দাবি, ফের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’ শতাব্দী – satabdi roy faced local people protest going didir doot campaign


Birbhum News : বিক্ষোভ কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) তারকা সাংসদ শতাব্দী রায়ের (Shatabdi Roy)। সোমবার ফের ক্ষোভের মুখে পড়লেন দিদির দূত (Didir Doot) হয়ে গিয়ে। আজ সোমবার, বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদ বাজার এলাকায় দিদির দূত হয়ে গিয়েছিলেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। সেখানেই পানীয় জল, বিধবা ভাতা ও কয়লা প্রকল্পে নেওয়া জমি নিয়ে তাঁর সামনেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামবাসীরা। গ্রামের সব বাড়িতে শৌচাগার হয়নি কেন? আবাস যোজনার ঘর, বার্ধক্যভাতা কেন মেলেনি?

Shatabdi Roy : ‘শুধু নেতাদের পকেট ভারী হচ্ছে’, বীরভূমে ফের বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী
এই প্রশ্ন তুলে এদিন মহম্মদবাজারের মকদমনগরে বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল সাংসদের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা। সাংসদের দাবি, জেলার উন্নয়ন বৈঠকে ৯৯ শতাংশ শৌচাগার তৈরি হয়েছে বলে রিপোর্ট পেশ হয়েছে। বাস্তবে কেন হয়নি, তা নিয়ে খোঁজ নেওয়ার আশ্বাস দেন শতাব্দী। তাদের সব দাবিগুলি খতিয়ে দেখবেন ও দ্রুত সমাধান হবে আশ্বাস দেন সাংসদ।

Narayan Goswami : ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে হরিনাম সংকীর্তন, রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ সামলে সম্প্রীতির বার্তা তৃণমূল বিধায়কের
তবে গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি শতাব্দী রায় তাদের কোনও কথাই শোনেননি। এই বিষয়ে স্থানীয় এক গ্রামবাসী অভিযোগ জানিয়ে বলেন, “বহুদিন ধরে সরকারী দফতর, স্থানীয় নেতাদের এই সমস্যা নিয়ে বলেছি। কিন্তু কোনও সমাধান হয়নি। আজ সাংসদকে সামনে পেয়ে ভেবেছিলাম সব কথা খুলে বলব, অভিযোগ জানাবো।

Dilip Ghosh : ‘শুধুই ভাঁওতাবাজি’, বকেয়া DA-নিয়ে ফের রাজ্যকে নিশানা দিলীপের
আশা করেছিলাম তিনি আমাদের কথা শুনবেন। সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন। কিন্তু উনি আমাদের কোনও কথা শোনেননি। এভাবে চললে আমরা এবার বড় আন্দোলনে নামব”। এর আগে গতকাল, অর্থাৎ রবিবার দুবরাজপুর (Dubrajpur) বিধানসভার খয়রাশোলে জনসংযোগের জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন শতাব্দী।

Dilip Ghosh : ‘রাজ্যের মন্ত্রীদের গাছে বেঁধে রাখতে পারি…’, ফের স্বমহিমায় দিলীপ ঘোষ
সেখানেও তিনি বিক্ষোভের মুখে পড়েন। গ্রামবাসীরা তাঁকে জানিয়ে দেন ছোট বা বড় কোনও নেতাকেই তিনি ভোট দেবেন না। যদিও সেখানে সাংসদ সব দোষ চাপিয়ে দেন কেন্দ্রীয় সরকারের ঘাড়ে। উল্লেখ্য, ‘দিদির দূত’ (Didir Doot) কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকেই জায়গায় জায়গায় মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন শাসকদলের নেতা মন্ত্রীরা। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে দিয়ে শুরু।

Mamata Banerjee : অভিযোগ, দাবিপূরণের লক্ষ্যে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী
তারপর রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শুক্রবার সাংসদ শতাব্দী রায়, অর্জুন সিংহ, যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে তারকা নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। শাসক তৃণমূলের (Trinamool Congress) একের পর এক নেতা-নেত্রী সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়ছেন দলীয় জনসংযোগ কর্মসূচিতে গিয়ে। যা ইঙ্গিত, তাতে এই ক্ষোভ কমে যাবে, এমন সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *