স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিমতৌড়ির দিকে যাওয়ার সময় গাড়ির পিছনের চাকা ফেটে বিপত্তি বাঁধে। পালটি খেতে গাড়িটি উলটো দিকের রাস্তায় চলে যায়। ওই গাড়িতে থাকা ছজনের মধ্যে গুরুতর আহত হন তিনজন। উলটো দিকের রাস্তায় গাড়ি চলাচল সাময়িকভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িতে করে ছ’জন নন্দীগ্রামের এক বিয়ের আশীর্বাদের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। সেই মুহূর্তেই এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে। জাতীয় সড়কের পেট্রোলিংয়ে থাকা কর্মীরা তাদেরকে তৎক্ষণাৎ অ্যাম্বুলেন্সে করে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন জাতীয় সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটার ফলে উভয়দিকেই যান চলাচল বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে হয়ে যায়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে তমলুক থানার পুলিশ। টোয়িং ভ্যান মারফত তাঁরা দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়িটিকে থানায় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। জাতীয় সড়কে তৈরি হওয়া যানজটও দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। কিছুক্ষণের মধ্যে জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। 
এই দুর্ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “রাস্তায় দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, তখনই হঠাৎ করে সজোরে বোমা ফাটার মতো শব্দ পাই। তখন দেখি গাড়িটি পালটি খেতে খেতে পাশে রাস্তার দিকে চলে যাচ্ছে। গাড়িতে ৫-৬ জন যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনায় কয়েকজনের মাথা ফেটে গিয়েছে। তাঁদের তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
অন্যদিতে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বাঁকুড়াতে দুই বন্ধুর মর্মান্তিক পরিণতি হল সোমবার। বাঁকুড়া ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ওই দুজন। বাঁকুড়া বিষ্ণপুর থানা এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে এবং বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় ওই দুই পথচারীর মৃত্যু হয়েছে।
