অভিযোগ গত ৯ই ফেব্রুয়ারি তৃণমূলের দুই পক্ষের কোন্দলে উত্তর ভাঙ্গনখালী মোল্লা পাড়ায় এক ICDS সেন্টারে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেতা মোজাম্মেল সর্দারের নেতৃত্বে তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় আক্রান্ত মিজানুর মোল্লা বাসন্তী থানায় অভিযোগ করেছিলেন ওই ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় মিজানুর যখন সেই ঘটনার কিছু ছবি তুলে নিয়ে স্থানীয় ক্যাম্পে যাচ্ছিলেন, সেই সময় মোজাম্মেল সর্দার ও তাঁর অনুগামীরা তাঁকে ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোজাম্মেল সর্দার। আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী মিজানুর মোল্লা বলেন, “আমি ছবি তুলতে যাচ্ছিলাম। সেলফি তুলতে গিয়েছিলাম। সেই সময় আমাকে ব্যাপক মারধর করা হয়”।
মিজানুর আরও বলেন, “কয়েকদিন আগে ভাঙ্গনখালী মোল্লা পাড়ায় এরাই ওই ICDS কেন্দ্রটিতে ভাঙচুর চালায়।
আমি সেই ঘটনার প্রতিবাদ করি। থানায় অভিযোগও দায়ের করি। তারপর থেকেই ওঁদের আমার ওপর রাগ। উঠতে বসতে আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। আর আজ সোজা মারধর করল”। এই মারধরের ঘটনা নিয়েও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মিজানুর।
যদিও এই বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। আর এই ঘটনা নিয়ে মোজাম্মেল সর্দার বলেন, “এগুলি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। আমি বা আমার কোনও অনুগামী এই ধরনের কাজে যুক্ত নই থানায় আমাদের নামে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেই নিয়েই মিজানুরকে বলেছিলাম মিথ্যে অভিযোগ তুলে নিতে। এর থেকে বেশি কিছুই হয়নি”।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাসন্তী থানার পুলিশ (Basanti Police Station)। এদিকে, গোটা জেলা জুড়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে যেভাবে দলীয় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়ছে, তাতে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। ভোটের আগে যে কোনও ভাবে তাঁরা এই গোষ্ঠীকোন্দল সামাল দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। যা নিয়ে রীতিমতো কটাক্ষ করছেন বিরোধীরা।