৩ দিনে ১০ শিশুর মৃত্যু!
অ্যাডিনোভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজে আরও দুই শিশুর মৃত্যু হল শহরে। অপর এক শিশু মারা গিয়েছে বিসি রায় শিশু হাসপাতালে। এই নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টার পাঁচজনের মৃত্যু হল। সোমবার দুই শিশুর মৃত্যু হয় বিসি রায় শিশু হাসপাতালে। সংখ্যাটা গত তিনদিনে ১০ জন। চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্বাস্থ্য দফতরে।
জানা গিয়েছে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে ভর্তি দুই শিশুর মধ্যে একজন উদয়নারায়ণপুরের বাসিন্দা ছিল। বয়স ১ বছর ৮ মাস। উদয়নারায়ণপুর স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জ্বর এবং সর্দি-কাশি নিয়ে দেখানোর পরই তাঁকে কলকাতা মেডিক্যালে রেফার করা হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবণতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছিল। এদিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ শিশুটি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে। যদিও তার ডেথ সার্টিফিকেটে নিউমোনিয়া সংক্রমণের কথা লেখা হয়। অ্যাডিনোভাইরাস টেস্টের রিপোর্ট এখনও আসেনি বলেই খবর।
অন্য শিশুটির বয়স ছয় মাস। মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা এই শিশুর শরীরে অ্যাডিনোভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। তাকে প্রথমে ভর্তি করা হয়েছিল আরজি কর হাসপাতালে। সেখানে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয় শিশুটিকে। এরপর ফের একবার অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই শিশু। তাক ভর্তি করা হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে। মঙ্গলবার সকালে তারও মৃত্যু হয়েছে।
মৃত তৃতীয় শিশুটির বয়স মাত্র দুই মাস। হরিণঘাটার বাসিন্দা এই শিশুর শরীরে সর্দি-জ্বর এবং নিউমোনিয়ার উপসর্গ ছিল। সোমবার কল্যাণী হাসপাতাল থেকে তাকে রেফার করা হয় বিসি রায় শিশু হাসপাতালে। তাকে ICU-তে রাখা হয়েছিল বলে খবর। মঙ্গলবার সকালে তারও মৃত্যু হয়।
কলকাতায় অ্যাডিনো উদ্বেগ
কলকাতা শহরে একের পর এক শিশু মৃত্যু খবরে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। অ্য়াডিনো আতঙ্কের মধ্যেই বেড সংকটও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে। প্রায় সব হাসপাতালেই ভর্তি পেডিয়াট্রিক ICU। গাদাগাদি অবস্থা হাসপাতালগুলিতে। একই বেডে একাধিক শিশুকে ভর্তি নেওয়ায় আরও উদ্বেগ ছড়াচ্ছে অভিভাবকদের মধ্যে।