বর্তমানে তাঁরা চিকিৎসাধীন। আনন্দ অনুষ্ঠানের মাঝেই এরকম দুর্ঘটনার খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে উভয় পরিবারে স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে আসানসোল উত্তর থানার কাল্লা মোড়ে। জানা গিয়েছে, ছেলের বিয়ে উপলক্ষে ধানবাদ থেকে পানাগড় যাচ্ছিলেন অনিল পাণ্ডে ও তাঁর আত্মীয়রা।
ধানবাদের বাসিন্দা অরবিন্দ পাণ্ডের বিয়ে উপলক্ষে পানাগড় যাচ্ছিল বরযাত্রী বোঝাই গাড়ি। পথে দু’নম্বর জাতীয় সড়কে আসানসোলের কাল্লা মোড়ে ওই বরযাত্রী বোঝাই গাড়িকে পিছন থেকে একটি লরি ধাক্কা মারে। এরপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উলটে যায়।
গাড়িতে থাকা অনিল পাণ্ডে এবং পত্রের দুই মামা শশীভূষণ পাণ্ডে ও বলদেব পাণ্ডে সহ গাড়ির চালক গুরুতর আহত হন। দুর্ঘটনা দেখেই ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় থানায়। খবর পেয়ে পুলিশ সবাইকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতালে চিকিৎসকরা পত্রের বাবা অনিল পাণ্ডে ও গাড়ির চালক সন্তোষ বিশ্বকর্মাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় বরের দুই মামাকে। দুর্ঘটনার পর তড়িঘড়ি পানাগড়ে গিয়ে বিয়ে সেরে ফেলা হয়।
রাতেই পরিবারের লোকজন ফিরে আসেন ধানবাদে। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে পাণ্ডে পরিবারে। মৃতের আত্মীয় সন্দীপ বিশ্বকর্মা বলেন, “কাল্লা মোড়ের কাছে গাড়িটি দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। জানতে পেরেছি, পেছন থেকে একটি লরি এসে সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যায়। বাকিরা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। পুলিশই আমাদেরকে খবর দেয় দুর্ঘটনার ব্যাপারে।”
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, বিয়ের কারণে বরযাত্রী বোঝাই গাড়ি পানাগড় যাচ্ছিল। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লরিটি সজোরে ধাক্কা মারে চার চাকা গাড়িকে। গাড়িটির চালক নিয়ন্ত্রণ না রাখতে পেরে প্রথমে ডিভাইডারে ধাক্কা মারে।
এরপর গাড়িটা পাল্টি খেয়ে যায়। আহত প্রত্যেককেই উদ্ধার করে পুলিশ নিয়ে যায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে। তবে চিকিৎসকরা দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘাতক লরিটিকে খোঁজার কাজ শুরু করেছে পুলিশ।