Child Marriage : পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে নিজের বিয়ে আটকাল নাবালিকা – minor stopped her marriage by going to panchayat office in chandrakona


এই সময়, মেদিনীপুর: বিয়ে করতে নাবালিকা মেয়েকে চাপ বাবা-মায়ের। উপায় না দেখে নিজের বিয়ে আটকাতে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে প্রধানের কাছে সরাসরি হাজির হয়ে গেল নবম শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনা চন্দ্রকোনা থানা এলাকার।

Ghatal News : ‘বেশ করেছি প্রেম করেছি’, মাধ্যমিক না দিয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে নাবালকের
চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের বিডিও অমিত ঘোষ বলেন, “সোমবার বিকেলে এই ঘটনার কথা জানার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নাবালিকার বাবাকে মুচলেকা লেখানো হয়েছে। মেয়েটির পড়াশোনা জন্য প্রশাসন তার পাশে থাকবে।”

স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ইসমাইল খান বলেন, “সোমবার বিকেলে পঞ্চায়েত অফিসে মিটিং চলছিল। এমন সময় একটি মেয়ে এসে দরজার সামনে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে।” কী ব্যাপার জানতে চাইলে সে বলে- “আমাকে বাঁচাও। বাবা-মা জোর করে বিয়ে দিতে চাইছে। আমি নবম শ্রেণিতে পড়ি। লেখাপড়া করতে চাই। বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় বাবা-মা আমাকে বলছে, বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করতে। আমি এখন কী করব?”

Child Marriage : কিশোরী মা, নাবালিকা বধূরা দশমের পরীক্ষায়, উদ্বেগ
পঞ্চায়েত প্রধান জানান, সব শুনে মেয়েটির বাবাকে ডেকে পাঠানো হয়। তিনিও পুরোটা স্বীকার করে নেন। তাঁকে মুচলেকা লেখানো হয়, মেয়ের ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না এমন প্রতিশ্রুতি দেন। ঘটনার কথা বিডিও-কে জানাই। মেয়েটির লেখাপড়ায় যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছি।

জানা গিয়েছে, হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে ওই ছাত্রী। বাবা দিনমজুর। এলাকার সব মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, তাই নিজের মেয়েরও বিয়েও দিতে চান তিনি।

North 24 Parganas News : পরিবারের অমতে ভালোবেসে পালিয়ে বিয়ে, ৪ দিন যেতে না যেতেই চরম সিদ্ধান্ত যুগলের!
সে কারণে লেখাপড়া বন্ধ করিয়ে দিয়েছিলেন। জেলা শিশু সুরক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, “কন্যাশ্রী ক্লাব, সচেতনতা প্রচারের সাফল্য এটা। আরও বেশি করে সচেতনতা প্রচার করতে হবে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *