
অর্ণবের তৈরি করা এই অ্যাটোমাইজারের স্পিড ১ হাজার থেকে ৫০ আরপিএম অবধি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আরও একটি বিশেষত্ব হল এই অ্যাটোমাইজার ব্যবহার করলে হাইপ্রেশার পাম্পের প্রয়োজন হবে না। সেন্ট্রিফিউগাল ফোর্সের মাধ্যমে তা কাজ করবে। এতে অ্যাটোমাইজারটি আকারে অনেক ছোট হবে, যা ড্রোন বা মিসাইলে ব্যবহার করা সুবিধাজনক।
অর্ণবের গবেষণার গুরুত্ব বুঝে কেন্দ্রের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব ইঞ্জিনিয়ারিং তাঁকে পুরস্কৃত করেছে। স্লিংগার এ্যাটমাইজার ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে। অর্পন চক্রবর্তীর এই আবিষ্কার দেশের সুরক্ষার প্রশ্নে এক বিরাট সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
IIT Madras-র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (Mechanical Engineering) বিভাগের অধ্যাপক ডঃ শ্রীকৃষ্ণ সাহুর সঙ্গে কর্মরত ছিলেন ওই চিকিৎসক। DRDO ও প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভর প্রকল্পের (PM Atmanirbhar Yojana) অধীনে বৈজ্ঞানিক সাফল্য দেশের প্রযুক্তিবিদ্যার এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
অ্যাটোমাইজার কী?
ফুয়েল ইঞ্জেকশন সিস্টেমে মুখ্য ভূমিকা রয়েছে অ্যাটোমাইজারের। ফুয়েল বা জ্বালানি ট্যাঙ্ক থেকে ফুয়েল এখানে এসেই অ্যাটোমাইজারের মাধ্যমে সূক্ষ্ম কণায় পরিণত হয় তা ইঞ্জিনে স্প্রে হয়। অ্যাটোমাইজারটি কত দ্রুত ঘুরছে অর্থাৎ তার আরপিএম কত তার উপর নির্ভর করে কণার আকার। সাধারণ অ্যাটোমাইজার ঘোরানোর জন্য হাইস্পিড পাম্পের প্রয়োজন হয়। অর্ণবের তৈরি করা অ্যাটোমাইজারের পাম্পের কোনও প্রয়োজন হবে না।
বাবা অবসরপ্রাপ্ত পুলিস অফিসার, মা গৃহবধূ। দুর্গাপুর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.টেক করেন। ২০১৬ সালে এমটেক করার জন্য খড়গপুর আইআইটিতে ভর্তি হন। ২০১৭ সালে এসএন বসু স্ক্যালারশিপ পেয়ে ৩ মাসের জন্য আমেরিকার টেক্সাসে গবেষণার কাজে যান।
অর্ণব বলেন, “এই প্রোজেক্টে আমি আমার অধ্যাপকদের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকেরও অনেকেই ছিলেন। ২০১৮ সালে গরমকাল থেকে কাজ শুরু হয়ে সাড়ে তিন বছর লেগেছে এই কাজ শেষ করতে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই অ্যাটোমাইজারটি ব্যবহার করা হবে। প্রতিরক্ষার পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যাবে। “