ফিরহাদ ও মদনের উদ্দেশে এদিন বিচারক শুভেন্দু সাহা বলেন, “আপনার কতটা VIP গিয়েছেন যে বিচারককে এতক্ষণ বসে থাকতে হচ্ছে। যদি সময়মতো আদালতে না আসেন, তবে কীভাবে তুলে আনতে হয় তা জানা আছে।” এদিন নারদা মামলার জন্য PMLA কোর্টে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল শোভন, ফিরহাদ ও মদনের।
নির্দিষ্ট সময়ে নিজের আইনজীবীকে নিয়ে আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। দেরিতে এসে পৌঁছন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক মদন মিত্র তাঁরও পরে আদালত কক্ষে প্রবেশ করেন। মদন জানিয়েছেন, আদালতে আসার পর পথে SSKM হাসপাতালে সামনে যানজটে তিনি আটকে পড়েছিলেন। যদিও এই নিয়ে ফিরহাদ হামিকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
২০২১ সালে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর নারদ মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। রীতিমতো বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এই চারজনকে গ্রেফতার করে নিজাম প্যালেসে নিয়ে আসে সিবিআই।
দলের নেতা ও প্রাক্তন সহকর্মীকে গ্রেফতারির পর নিজাম প্যালেসে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অনিন্দ্য রাউতের মতো তৃণমূলের আইনজীবী নেতারাও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। মুখ্যমন্ত্রী তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
নিজাম প্যালেসের বাইরে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ভিড় বাড়তেই থাকে। বিজেপি ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে চলতে থাকে স্লোগান। শেষমেশ আদালতের নির্দেশে তাঁদের রাতে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীকালে আদালত তাঁদের সকলকেই জামিন দেয়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির দলীয় দফতর থেকে সাংবাদিক বৈঠকে করে বেশ কিছু ভিডিয়ো ফুটেজ দেখানো হয়। সেখানে তৃণমূলের নেতামন্ত্রী থেকে শুরু সাংসদদের ম্যাথু স্যামুয়েলের থেকে টাকা নিতে দেখা যায়। আদালতের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। আগামী দিনে এই মামলা কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।