পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে এবং এই গরমে পরীক্ষার্থীদের কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা, সেই নিয়েও এদিন খোঁজখবর নেন মমতা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাবলু সিংও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক স্লোগান তুলতে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের স্লোগান তুলতে নিষেধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, প্রায় প্রত্যেক বছরই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে যান মুখ্যমন্ত্রী।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনের (Sagardighi By Election) জন্য একদিন বন্ধ রেখে আবার শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। উপনির্বাচনের কারণে মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষা পিছিয়ে ১ মার্চ নির্ধারিত হয়েছে। যে কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে।
২৩ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিকের প্রথম দিনই জলপাইগুড়ির এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক পরিণতি হয়। বাবার সঙ্গে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় উন্মত্ত হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অর্জুন দাসের। সেই সময় উত্তরবঙ্গেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মৃত পরীক্ষার্থীর পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি তাঁদের সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।
গজলডোবায় হাতির হানায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অর্জুন দাসের মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ঘটনা থেকে পরীক্ষার্থীদের বাঁচাতে বাসের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই বিভিন্ন বনাঞ্চলে পরীক্ষার্থীদের জন্য বাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বাসের পাশাপাশি পুলিশ ও বনদফতরের আধিকারিকরা নজরদারি চালাচ্ছেন।
অন্যদিকে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, CBSE, ICSE, মাদ্রাসা সহ সকল পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পাশাপশি মমতা বলেন, “কোনও পরীক্ষা খারাপ হলে পরীক্ষার্থীদের মন খারাপ করার কোনও কারণ নেই। সব পরীক্ষাই যে সবসময় ভালো হবে, এমন কোনও কথা নেই। কোনও পরীক্ষা যদি খারাপ হয়, প্রশ্ন কঠিন হয়। আমাদের নলেজে এলে আমরা তা দেখে নেব।”