
‘গন্ডারের আক্রমণ’ নিয়ে প্রাক্তন কর্তার প্রতিক্রিয়া
প্রদীপবাবু বলেন, ‘ভিডিয়ো দেখেছি। গন্ডার কখনও গাড়ির উপর আক্রমণ করতে যায়নি। কোনওরকমভাবে গন্ডারকে উত্যক্ত করা হয়েছে বলে অনুমান। সে রাস্তা ক্রস করতে যাচ্ছিল। সেই সময় সেখানে গাড়িটা দাঁড়িয়ে ছিল। গন্ডার যখন গাড়ির দিকে আসল, ভয় পেয়ে আক্রমণ করতেই পারে, এটা স্বাভাবিক।’
দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে প্রদীপ ব্যাসের বক্তব্য
তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনা হয়েছে, কারণ চালক নার্ভাস হয়ে গাড়ির ব্যালেন্স রাখতে পারেননি। চালক ঠান্ডা মাথার হলে ব্যাক করে কাঁচা রাস্তায় পিছিয়ে আনলে দুর্ঘটনা ঘটত না। জিপসি পাল্টি না খেলে এই ঘটনা ঘটত না। চালকের ভূমিকা ঠিক ছিল না।’
Jaldapara Forest Safari: পর্যটক দেখে তেড়ে এল গণ্ডার! আহত ৬
গন্ডারের আক্রমণে জিপসি উলটে যাওয়ার পর থেকেই আতঙ্কে পর্যটকরা। জনমানসে তীব্র প্রতিক্রিয়ার পর তৎপর বন দফতরও। গাইড ও জিপসি চালকদের সতর্ক করা হয়েছে বন দফতরের পক্ষ থেকে।
উত্তরবঙ্গে গন্ডারের আক্রমণ কি এই প্রথম?
ওই কর্তার জবাব, ‘বহুবার গন্ডার গাড়ির দিকে তেড়ে এসেছে। বেশ কয়েক বছর আগে রাজ্যের বন দফতরের এক অধিকর্তা লাটাগুড়ি রোড দিয়ে যাওয়ার সময় গন্ডার হানার মুখে পড়েছিলেন। আচমকাই পাকা রাস্তার উপর তার অ্যাম্বাসাডরকে আক্রমণ করা হয়েছিল। গন্ডারটি গাড়িকে এমনভাবে মেরেছিল যে, গাড়ির দরজা খুব বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। অনেকেই সেই ঘটনা জানে।’
এরকম ঘটনা এড়াতে কী প্রয়োজনীয়?
তিনি বলেন, ‘জিপসি চালকদের খুবই দক্ষ হওয়া উচিত। এটা তো গন্ডার ছিল, হাতি তো এর থেকেও বড় প্রাণী। গাড়ি উল্টে দিতে পারে। সঙ্গে গাইড-চালকদের বন্যপ্রাণ নিয়ে ধারণা থাকাও জরুরি।এই ঘটনায় গন্ডার যেভাবে গাড়ির দিকে এগিয়ে এসেছে, সেভাবে সাধারণত আসে না। নিশ্চিত তাকে উত্যক্ত করা হয়েছে। জঙ্গলের ভেতর থেকে যখন গন্ডার আসার শব্দ শোনা যাচ্ছিল, সেখানে ওরা দাঁড়িয়েছিল কেন? এখানে চালক এবং গাইডদের বোঝা উচিত ছিল। গন্ডারের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা উচিত ছিল। সঙ্গে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রয়োজন রয়েছে।’
বন দফতরের ভূমিকা
তিনি বলেন, ‘বন দফতরের এখানে বড় ভূমিকা ছিল। পর্যটকদের কী দোষ? তারা তো ওখানে আনন্দ উপভোগ করতেই যাচ্ছেন। পর্যটকরা জঙ্গলে যেতে চাইবেন এবং তার সঙ্গে ওখানে হাজার মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয়। আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটলে অনেক ক্ষতি হত। যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের জন্য সমবেদনা রইল। চালক আরেকটু সতর্ক হলে এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।’