যাদের মধ্যে পথচারী স্থানীয় বাসিন্দা গৌতম দাসের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখা দেয়। ঘোলা থানার টহলদারি ভ্যানে গুরুতর আহত অবস্থায় বছর সত্তরের গৌতম দাসকে পানিহাটি রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে বেলঘরিয়ার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়।
সূত্রের খবর, রাতেই সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। বাকি চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ভোলা থানার পুলিশ আটক করেছে ঘাতক বাইক সহ তার চালককে। সোমবার সন্ধ্যায় ওই পথ দুর্ঘটনার ফলে ব্যস্ততম সোদপুর বারাসত রোডে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।
ঘটনাস্থলে পৌঁছন ব্যারাকপুর সিটি পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ তনয় চ্যাটার্জি। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে আসেন মৃত গৌতম দাসের নিকটাত্মীয় অঞ্জনা দাস। তিনি বলেন, “পুলিশের তরফ থেকে এই দুর্ঘটনার খবর পাই। ওনারাই আমাকে হাসপাতালে ডেকে পাঠান। এভাবে হঠাৎ করে যে এইরকম কাণ্ড ঘটে যাবে, ভাবতেই পারছি না।”
ঘাতক বাইক চালকের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন অঞ্জনা দাস। ঘাতক বাইকটি কয়েকজনকে ধাক্কা মারার পরে আরও একটি মোটর বাইকে ধাক্কা মারে। ঘটনায় আহত হন সেই মোটর বাইকের চালক শুভাশিস বিশ্বাস।
হাসপাতালে থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছাড়া পেয়ে তিনি বলেন, “আমি আমার বাইকটি সেই সময় স্ট্যান্ড করছিলাম। হঠাৎ করেই রাস্তার ওপরে বিশাল হইহই আওয়াজ শুনতে পাই। যতক্ষণে বুঝতে পারলাম যে একটি বাইক পরপর লোককে ধাক্কা মারছে, ততক্ষণে ওই বাইক এসে আমার বাইকেও ধাক্কা মেরে দেয়। আমি রাস্তার ধারে ছিটকে পড়ি। কপাল ভালো যে বড় কোনও আঘাত লাগেনি।”
এই দুর্ঘটনার বিষয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ তনয় চ্যাটার্জি বলেন, “এখানে একটি বাইক দুর্ঘটনা ঘটেছে। পরপর কয়েকজনকে ধাক্কা মেরে বাইকটি নিজেই পড়ে যায়। ঘাতক বাইকটি বাজেয়াপ্ত করে চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাইক চালানোর সময় সে মদ্যপান করে ছিল কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।”