মঙ্গলবার দিনহাটার সাহেবগঞ্জে দাঁড়িয়ে উদয়নকে শুধরে যাওয়ার পরমর্শ দিয়েছিলেন সুকান্ত। সন্ধেয় সেই ইস্যুতে মুখ খুললেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “উনিতো পন্ডিতমশাই। উনি প্রাইমারি স্কুলের হেডমাস্টার। এভাবে আমাকে কিভাবে শুধরে যেতে হবে। আপনি আচরি ধর্ম পরকে শেখাও। আগে নিজে শোধরাক। পরে অন্যকে যেন শেখাতে আসে।”
এদিন উদয়নের জনসমর্থন নিয়ে প্রশ্ন তুলে ছিলেন সুকান্ত। তিনি জানিয়েছিলেন এখনও নির্বাচন হলে উদয়ন ৫০ হাজার ভোটে হারবেন। সেই নিয়ে উদয়ন বলেন, “তাই যদি হয় তাহলে আমি আমার বিধানসভা কেন্দ্রে পদত্যাগ করছি। উনি উনার লোকসভা কেন্দ্রে পদত্যাগ করে দিনহাটা বিধানসভা নির্বাচনে আমার বিরুদ্ধে লড়াইতে নামুক। আমি যদি নির্বাচনে হেরে যাই তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।”
নিশীথকে কালো পতাকা দেখাতে গিয়ে তৃণমূলের মুখ কালো হয়েছে বলে দাবি করেন সুকান্ত। সেই প্রসঙ্গে উদয়ন বলেন, “ছেলে মানুষি মানায় না। আসলে কম বয়সে হঠাৎ করে বড় পদ পেয়ে গিয়েছেন। নিশীথ প্রামাণিক বলছে দিনের বেলা আক্রমণ করার আমাদের ক্ষমতা আমাদের নেই। সুকান্ত মজুমদার বলছে কালো পতাকা দেখাতে এসে মুখ কালো হয়েছে তাই কালো পতাকা দেখাযইনি। তাহলে হল্লা রাজা যুদ্ধ করার জন্য এত সৈন্য নিয়ে আসার কী দরকার ছিল। ওই যে বলেছে তোরা যুদ্ধ করে করবি কি তা বল, আমরাও বলি সুকান্ত মজুমদার বালুরঘাটে চল।”
এদিন নিশীথের বিরুদ্ধে আরও এক গুরুতর অভিযোগ করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন তৃণমূলে থাকাকালীন কোটি টাকা খরচ করে যে গনেশ পুজো করেছিলেন, সেই পুজোর প্যান্ডেল, লাইট ও ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ টাকা এখনও তিনি বাকি রেখেছেন।
যদিও বিজেপির যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। দিনহাটা শহর মন্ডল সভাপতি অজয় রায় বলেন বলেন, “উয উন্মাদ হয়ে গিয়েছেন। তাই উল্টো পালটা বকছেন।”