প্রসঙ্গত বি সি রায় শিশু হাসপাতালে এদিন ভোরে আরও দুই শিশুর মৃত্যুর খবরে আতঙ্ক ছড়ায়। উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার ৪ বছরের শিশুটি প্রচন্ড জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিল। প্রথমে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। পরে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়ায় তাঁকে ২৬ ফেব্রুয়ারি বি সি রায় হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে ভেন্টিলেশনে রাখা হয় শিশুটিকে। পরে ভেন্টিলেশন থেকে বের করার পর, বুধবার ভোর ৪টে ৫৫ মিনিটে ওই শিশুর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর শংসাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে নিউমোনিয়ার জেরে মৃত্যু।
অন্যদিকে, জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় মাত্র কয়েকদিনের শিশুরও মৃত্যু হয় এদিন। বারাসাতের নবপল্লির বাসিন্দা এক মহিলা শিশুর জন্ম দেন। জন্মের পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে সদ্যোজাত। বারাসাত হাসপাতাল থেকে রেফার করা হলে ওইদিনই ফুলবাগানের বি সি রায় হাসপাতালে আনা হয় তাঁকে। সেদিন থেকেই ভেন্টিলেশনে রাখা হয় নবজাতককে। বুধবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
সরকারি হোক বা বেসরকারি, হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে অসুস্থ শিশুদের। এমন পরিস্থিতি যে সরকারি হাসপাতালে অকুলান বেড। এক বেডে থাকতে হচ্ছে একাধিক শিশুকে। জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে ১০ দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়।