Firhad Hakim : ‘না পোষালে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি করুন!’ DA নিয়ে আন্দোলনকারীদের কড়া বার্তা ফিরহাদের – firhad hakim criticizes west bengal govt employees who are protesting in demand of due da


DA নিয়ে আন্দোলনকারীদের এবার কড়া বার্তা দিলেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। কলকাতার মহানাগরিকের বক্তব্য, “যারা অনেক পায়, তাদের আরও পাইয়ে দেওয়া আমার কাছে পাপ বলে মনে হয়। না পোষালে ছেড়ে দিন। কেন্দ্রীয় সরকার যখন অনেক টাকা দিচ্ছে, সেখানে গিয়ে কাজে যোগ দিন।”

West Bengal DA Latest Update : ‘খুবই কম…!’ চিঠি লিখে অতিরিক্ত 3% DA নিতে অস্বীকার রায়গঞ্জের শিক্ষকের
DA আন্দোলনকারীদের তীব্র কটাক্ষ মেয়রের

মঙ্গলবার বিধাননগরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ‘আশ্রয় প্রকল্প’-র বাড়ির উদ্বোধনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেখানে DA প্রসঙ্গ উত্থাপন হতেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “ডিএ নিয়ে এখন অনেক কথা হচ্ছে। মানুষের কাছে কোনটা প্রায়োরিটি হওয়া উচিত? যারা অবহেলিত এবং বঞ্চিত, তাঁদের মুখে ভাত তুলে দেওয়া? না কি যারা অনেক পাচ্ছে তাদের আরও বেশি পাইয়ে দেওয়া? যারা অনেক পায়, তাঁদের আরও পাইয়ে দেওয়া আমার কাছে পাপ বলে মনে হয়। না পোষালে ছেড়ে দিন। কেন্দ্রীয় সরকার যখন অনেক টাকা দিচ্ছে, সেখানে গিয়ে কাজে যোগ দিন।” ফিরহাদের আরও সংযোজন, আমি কোনও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির বাবু নই। জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে আমার মাইনে হয়। আমি মানুষের সেবা করার ব্রত সবার আগে পালন করি।”

DA Latest News : ‘সরকারের সঙ্গে আর সহযোগিতা নয়!’ DA নিয়ে রাজ্যের বিজ্ঞপ্তির পরেও মঙ্গলে কর্মবিরতির ঘোষণা
প্রসঙ্গত, চলতি বছর রাজ্য বাজেটে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের জন্য ৩ শতাংশ DA ঘোষণা করেছিলেন। মার্চ থেকেই যা লাগু হতে চলেছে। কিন্তু, সরকারি কর্মচারিরা তাঁদের আন্দোলনে অনড়। কেন্দ্রীয় সরকারি হারে DA না বাড়া এবং বকেয়া DA-র দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি এবং সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতা চালাচ্ছেন তাঁরা। এই নিয়েই এবার সরব হলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

West Bengal DA Update : কর্মবিরতির পর এবার ধর্মঘট, বকেয়া DA-র দাবিতে বড় আন্দোলনের ডাক রাজ্য সরকারি কর্মীদের
তিনি আন্দোলনকারীদের কটাক্ষ করে বলেন, “যাদের আশ্রয় নেই, তাদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা করো। যাদের পেটে খিদে আছে তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করো। যাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা দরকার তাদের চিকিৎসা দাও। যে মেয়েরা পিছিয়ে আছে তাদের কন্যাশ্রী দিয়ে এগিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করো। যে বাবারা মেয়েদের বিয়ে দিতে পারছে না তাদের রূপশ্রী প্রকল্প দিয়ে বাবাদের মুখে হাসি ফোটাও। এটাই পবিত্র কর্তব্য। যেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার করছে। ৩ শতাংশের জায়গায় ৬ শতাংশ, ১০ শতাংশ ও ৪০ শতাংশ ডিএ না দিয়ে, আগের সরকার যে কাজ করে যেতে পারেনি এই সরকার সেই কাজ করছে সরকার। ”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *