ছাত্রীর পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল সাড়ে ছ’টার নাগাদ স্কুলের তরফ থেকে ফোন আসে রানিজা অসুস্থ হয়ে পড়েছে, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর তার পরিবার হাসপাতালে পৌঁছে দেখে, রানিজা মারা গিয়েছে। তার গলায় ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।
পরিবারের দাবি, তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ওই নিহত ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ শুরু করে। কী করে এমনটা ঘটল তা না জানা পর্যন্ত বিক্ষোভ বন্ধ করবে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
আন্দোলনকারীরা দাবি করে, আবাসিক বিদ্যালয়টিতে পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম নয়। আগেও এরকম ঘটনার খবর তারা পেয়েছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার বিষয়ে নীরব। পুলিশ ইতিমধ্যেই আবাসিক স্কুলটিতে পৌঁছে গিয়েছে।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে, তদন্তের রিপোর্ট এলে এই মৃত্যু রহস্যের জট অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে। পাশাপাশি তারা ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে মৃত ছাত্রীর বাবা জানান, “শুধুমাত্র অসুস্থ হয়ে আমাদের মেয়ে মারা গিয়েছে একথা আমি মানতে পারছি না। যখন হাসপাতালে গিয়ে পৌঁছলাম, তখন আমাদের মেয়ে মারা গিয়েছে। আর দেখলাম গলায় ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। যদি অসুস্থ হয়েই মারা যায়, তাহলে ক্ষত চিহ্নটি কিসের! আমার মেয়েকে স্কুলেই মেরে ফেলা হয়েছে। এই স্কুলের হস্টেল নিয়ে আগেও এরকম ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। মৃত্যুর খবর এসেছে।”
মৃতার বাবা আরও জানান, “আমরা এর পূর্ণ তদন্ত দাবি করছি। যতক্ষণ না আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ীরা শাস্তি পাচ্ছে, আমি চুপ করে বসে থাকবো না।”
রানিজার এক প্রতিবেশী জানান, “নিজের পড়াশোনা নিয়ে যথেষ্ট মনযোগী ছিল রানিজা। উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফলের আশাও ছিল তাঁর। কিন্তু তার আগেই যে এরকম ঘটনা ঘটে যাবে, ভাবিনি। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।”