দিদির আশীর্বাদ নিয়ে পরীক্ষার হলে
বুধবার সকালে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর আগেই ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সারপ্রাইজ ভিজিট। এদিন তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন ইউনাইটেড মিশনারি গার্লস হাইস্কুলে। এদিন ছিল মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষা। আর তার আগে দিদির আশীর্বাদ পেলেন পরীক্ষার্থীরা।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যায় স্কুলের গেট দিয়ে ঢোকার মুখেই অভিভাবকদের খোঁজখবর নিতে। সকলকে তিনি প্রশ্ন করেন, “সবাই বসার জন্য চেয়ার পেয়েছো তো? কোনও অসুবিধা হচ্ছে না তো? ঠিকমতো জল টল খেও সকলে।” দিদির এই বাক্যে আপ্লুত পরীক্ষার্থীদের মায়েরা। পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে এবং এই গরমে পরীক্ষার্থীদের কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা, সেই নিয়েও এদিন খোঁজখবর নেন মমতা। তাঁর সঙ্গেই এদিন ছিলেন বিধায়ক অদিতি মুন্সীও।
গেটের ভিতর তখন পরীক্ষার ঘণ্টা বাজার অপেক্ষায় বোর্ড, পেন হাতে দাঁড়িয়ে পরীক্ষার্থীরা। আচমকাই তাঁদের সামনে হাজির স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তাঁক দেখেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন সকলে। দৌড়ে গিয়ে তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন মেয়েরা। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “তোমরা কোন স্কুল থেকে?” জবাবে পরীক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা সবাই বেলতলা হাইস্কুলের ছাত্রী।”
মুখ্যমন্ত্রী এরপর প্রশ্ন করেন, “তোমাদের সকলের পরীক্ষা ভালো হচ্ছে তো?” ছাত্রীরা সমবেত স্বরে বলেন, “পরীক্ষা খুব ভালো হচ্ছে। প্রশ্নপত্রও সহজ।” মুখ্যমন্ত্রী পালটা বলেন, “প্রশ্ন সহজ লাগছে মানেই তোমরা সকলে ভালো স্টুডেন্ট। ভালো করে প্রিপারেশন করেছো। আমি গর্বিত।” জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার আগে প্রিয় দিদির থেকে আশীর্বাদ পেয়ে আপ্লুত সকলেই।
উপনির্বাচনের কারণে মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষা পিছিয়ে ১ মার্চ নির্ধারিত হয়েছে। যে কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২৩ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিকের প্রথম দিনই জলপাইগুড়ির এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক পরিণতি হয়। বাবার সঙ্গে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় উন্মত্ত হাতির আক্রমণে মৃত্যু হয় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অর্জুন দাসের। সেই সময় উত্তরবঙ্গেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মৃত পরীক্ষার্থীর পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি তাঁদের সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।