জানা গিয়েছে, ভিভিআইপিদের ক্ষেত্রেও এই হেলিপ্যাড ব্যবহার করা যাবে। তাঁদের ব্যবহারের কথা মাথায় রেখেই এখানে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ধরনের হেলিপ্যাডের জেরে মানুষ অনেকাংশে উপকৃত হবেন বলে আশাবাদী বিএসএফের ডিআইজি কুলবন্ত রাই শর্মা।
রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী এই প্রসঙ্গে বলেন, “জেলার জন্য অত্যন্ত জরুরি এই হেলিপ্যাড উদ্বোধন করা হল। আপৎকালীন পরিস্থিতি বা বন্যার সময় আমরা রাস্তা বন্ধ হয়েছে যেতে দেখেছি। সেই সময় রাস্তা বন্ধ থাকার কারণে প্রশাসনিক সাহায্য বা ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। সাংসদ হিসেবে এখানে নির্বাচিত হওয়ার পর আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করি। এখানে জরুরি অবতরণ করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সাধারণ মানুষের জন্য কোনও বিশেষ পরিস্থিতিতে বা দুর্ঘটনার সময় স্থানান্তরের সময় হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করতে পারলে এই হেলিপ্যাড ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে। অর্থাৎ জরুরি পরিষেবার জন্য এই হেলিপ্যাড থাকল। ভিআইপিদের জন্যও এখানে নিরাপত্তার কোনও প্রয়োজন হবে না, কারণ এই অঞ্চল সবরকমভাবে নিরাপদ। সম্পূর্ণটাই আপৎকালীন পরিষেবার জন্য করা হয়েছে।”
বিএসএফের ডিআইজি কুলবন্ত রাই শর্মা এই প্রসঙ্গে বলেন, “এই হেলিপ্যাড উদ্বোধন হয়েছে দেখে খুবই ভালো লাগছে। উত্তর দিনাজপুর জেলায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীরও একটি হেলিপ্যাডের প্রয়োজনীয়তা ছিল। সেই প্রয়োজন পূরণ হল। সাধারণ মানুষও আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এই হেলিপ্যাড ব্যবহার করতে পারবেন।”
স্থানীয় বাসিন্দা অজয় দাস বলেন, “জেলায় একটি হেলিপ্যাড চালু হল, এটা খুবই ভালো। বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয় সাধারণ মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে দিতে হেলিপ্যা়ড ব্যবহার করা হবে বলে শুনলাম। সাধারণ মানুষও জরুরি পরিষেবার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। আমাদের মতো জেলা বাসীর সুবিধা হবে।”